শ্রীপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১
গাজীপুরে দুর্বৃত্তকারীরা শ্রীপুর থানা পুলিশের তিনটি পিকআপ এবং মাওনা হাইওয়ে থানার দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (৩ আগস্ট) মাওনা উড়াল সেতুর নিচে হাইওয়ে পুলিশের দুটি বক্সে ব্যাপক তারা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তারা বিভিন্ন মার্কেটের সামনে রাখা লোকজনের বেশ কয়েকটি গাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ভাঙচুর চালিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা শনিবার বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় আন্দোলকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় এক ব্যবসায়ী নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সর্টগানের গুলি, রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে।
সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন আন্দোলনকারীরা। এতে পুলিশের কয়েক সদস্যসহ আহত হন। একপর্যায়ে দুপুরে পুলিশ শর্টগানের গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। ঘটনার সময় মাওনা চৌরাস্তা এলাকার লেপতোষকের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) নিহত হন।
নিহতের প্রতিবেশী কাজল মিয়া বলেন, জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় কেওয়া বাজার থেকে তুলা আনতে গিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে নিহত হয়েছেন। তিনি সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা এবং প্রায় ৫ থেকে ৭ বছর আগে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় বিয়ে করে লেপতোষকের ব্যবসা শুরু করেন।
শ্রীপুর থানার ওসি আকবর আলী খান জানান, আমরা নিরস্ত্র হাতে শান্তিপূর্ণভাবে শ্রীপুর সড়কের ভাই ভাই সিটিতে অবস্থান করছিলাম। আন্দোলকারীরা হঠাৎ করে নিরস্ত্র পুলিশের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে তারা ভাই ভাই সিটির নিচে রাখা পুলিশের তিনটি গাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তারা উড়াল সেতুর নিচে হাইওয়ে পুলিশের দুটি বক্সেও আগুন দেয়।
মন্তব্য করুন