সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ নিহত ১৪
সাতক্ষীরায় হামলা ও সহিংসতায় এক আওয়ামী লীগের নেতাসহ ১৪ জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দোকান-পাট, ব্যাংক, অফিস-আদালত খোলা ছিল। তবে, জেলায় বাস না চললেও অন্যান্য যানচলাচল ছিল স্বাভাবিক।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন জেলার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কল্যাণপুর গ্রামের বাসিন্দা জাকির হোসেন, তার ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন, ভাইপো সজিব হোসেন, ভাগনে আশিকুর রহমান, স্বজন সাকের আলী ও গাড়িচালক শাহিন হোসেন।
এ ছাড়া আশাশুনি থানার কল্যাণপুর গ্রামের আদম আলী (২৮), কোলা গ্রামের আনাজ বিল্লাহ (১৭) ও কুড়িকাউনিয়া গ্রামের আনাজ আলী (১৮), সদর উপজেলার বৈকারি গ্রামের আওয়ামী লীগের কর্মী আসাফুর রহমান (৪০), মৃগাডাঙ্গা গ্রামের তৌহিদ ইসলাম (৩০), সাইফুল ইসলাম (২৫), বিএনপির কর্মী জাহিদ হোসেন (২৮) ও ফারুক হোসেন (৩৫) নিহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর প্রতাপনগর ইউনিয়নের কয়েক হাজার লোক এক জোট হয়ে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেনের কল্যাণপুরের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় জাকির বন্দুক দিয়ে গুলি করেন। গুলিতে ঘটনাস্থলেই আদম আলী, আনাজ বিল্লাহ ও আনাজ আলী (১৮) মারা যান। এরপর জাকিরের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। তারা রাত আটটার দিকে জাকিরসহ তার পাঁচ স্বজনকে পিটিয়ে হত্যা করে। প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু দাউদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একইভাবে গতকাল রাতে সদর উপজেলার বৈকারি গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী আসাফুর রহমানকে পিটিয়ে হত্যা করে। রাত নয়টার দিকে মৃগাডাঙ্গা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে মৃগাডাঙ্গা গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী তৌহিদ ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, বিএনপির কর্মী জাহিদ হোসেন (২৮) ও ফারুক হোসেন নিহত হন।
বৈকারি ইউপির চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। পরিস্থিতির উন্নতির চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন