সাদিক আবদুল্লাহর বাসায় অগ্নিকাণ্ডে মৃতের পরিচয় মিলেছে
বরিশালে সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর বাসায় আগুনে পুড়ে যাওয়া মরদেহের পরিচয় মিলেছে। তিনি হলেন, বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচবার নির্বাচিত কাউন্সিলর, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গাজী নইমুল হোসেন লিটু।
গত সোমবার রাত ৮টার দিকে বরিশাল নগরের কালিবাড়ী রোডের সেরনিয়াবাত ভবন থেকে অগ্নিদগ্ধ তিন মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
কাউন্সিলর লিটু (৫৫) নগরের নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা ও ভাষা সৈনিক মরহুম অধ্যক্ষ হোসেন আলীর ছেলে। নগরের নতুন বাজার পাবলিক স্কুলের সাবেক সহকারী শিক্ষক লিটু ১৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে টানা ৫ বারের কাউন্সিলর।
জানা যায়, সরকার পতনের পর বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বাসভবনে বেলা ৩টার দিকে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধরা। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বিক্ষুব্ধদের বাধায় ফিরে যায়। রাতে ওই বাসা থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে জমা দেয়। এর মধ্যে ওই রাতে নগরের নাজির মহল্লা এলাকার বাসিন্দা কাঞ্চন ফরাজীর ছেলে নুর ইসলাম নুরু (৪৫) ও বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার সঠিখোলা গ্রামের বাসিন্দা মজিবর রহমান জোমাদ্দারের ছেলে মঈন জোমাদ্দার (৪৫)। তবে একটি মরদেহের পরিচয় কেউ শনাক্ত করেনি।
এ বিষয়ে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম বলেন, ‘একটি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় সোমবার রাত থেকে মর্গের হিমাগারের ছিল। মরদেহের পরিচয় শনাক্তসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কাগজপত্র পুলিশের কাছে হস্তান্তর হয়।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কাউন্সিলর লিটুর পরিবার মরদেহ শনাক্ত করেছে। পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন