পাথরঘাটায় শিবিরের সাবেক সভাপতিকে হত্যা

বরগুনার পাথরঘাটায় আপন মেঝ ভাইয়ের সাথে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে রাতের আধারে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পাথরঘাটা উপজেলার সাবেক সভাপতি মো. আবুল বাশারকে (৪৫) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

আবুল বাশার একই এলাকার মো. মতিয়র রহমানের ছোট ছেলে।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পাথরঘাটা উপজেলা আমির মো. শামীম আহসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আবুল বাশারের স্ত্রী তানিয়া জানান, তার ভাসুর সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল আবুল বাশারের। এ নিয়ে ভাসুর সিদ্দিকুর রহমান ও তার ছেলে মুছা ছোট ভাই আবুল বাশার ও স্ত্রী তানিয়াকে মারধর করেছে। পরে মামলা হলে ওই মামলা উঠিয়ে ফেলা হয় পারিবারিক মীমাংসার মাধ্যমে। পরে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে তার স্বামী আবুল বাশারকে তাকে কল দিলে জানান, তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়িতে আসছেন। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। কলে না পেয়ে টর্চলাইট নিয়ে বাড়ির সামনের দিকে গেলে সড়কের পাশে কাদার মধ্যে তার স্বামীকে পড়ে থাকতে দেখেন। তাৎক্ষণিক তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে দেখেন তার ঘারের ওপর লোহার দেশীয় অস্ত্র (সাড়াশি) গেথে আছে। এ সময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, ভাসুর সিদ্দিকুর রহমান, তার ছেলে মুছা এবং মেয়ে জামাই সোহেল এ কাজ করতে পারেন বলে ধারণা তার। এ ছাড়া বিকাশের টাকা ফ্লেক্সিলোডের মোবাইল নিয়া যায় তারা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সিদ্দিকুর রহমান ও তার ছেলে মুছার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পাথরঘাটা উপজেলা আমির মো. শামীম আহসান এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পাথরঘাটা উপজেলা সভাপতি হাফেজ রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আবুল বাশারের সঙ্গে তার ভাই সিদ্দিকুর রহমানের অনেক আগে থেকেই জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর সূত্র ধরেই আবুল বাশার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এটি পূর্ব পরিকল্পিত। আমরা চাই আইনের মাধ্যমে সঠিক তদন্ত করে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।’