ছাত্র-জনতার সহযোগিতায় আশুলিয়া থানায় যোগদান করল পুলিশ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে টানা ৫ দিন বন্ধ থাকার পর ছাত্র-জনতার সহযোগিতায় শনিবার (১০ আগস্ট) আশুলিয়া থানায় যোগদান করেছেন ওসিসহ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা। তবে পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু করতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলের দিকে আশুলিয়া থানায় হাজির হন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম সায়েদসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা। এ সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর একটি দল।
এর আগে সকাল থেকে থানা প্রাঙ্গণ নিজ উদ্যোগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা। থানা ভবনসহ আসবাবপত্র প্রায় পুড়ে গেছে। এগুলো মেরামত করতে অন্তত ১০ দিন সময় প্রয়োজন। আজকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৮ পুলিশ সদস্য যোগদান করেছেন।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, ছাত্র ও জনতার সহযোগিতায় আবারও থানার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তরুণ প্রজন্মসহ আমরা সবাইকে নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়বো। যেখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে। তাদের সহযোগিতায় দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা পুলিশের সহযোগী স্বেচ্ছাসেবক হয়ে কাজ করার কথা জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আশুলিয়ার-বাইপাইল এলাকার সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থী মো. রওশন ইসলাম বলেন, ‘ছাত্র-পুলিশের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবে। ছাত্র-জনতার লাশের ওপর দিয়ে রাজনৈতিক দল কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারবে না। চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে পুঁজি করে কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করবে না। যতদিন প্রয়োজন করবে ততদিন আমরা পুলিশের সহযোগিতায় পাশে থাকবো।’
আরেক ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা সকলের সহযোগিতায় দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। পুলিশের সহযোগিতায় ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা শিক্ষার্থীরা কাজ করবো। আমরা সাধারণ মানুষের হয়রানি দূর করতে চাই।’
প্রসঙ্গত, গেল ৫ আগস্ট দেশের অন্যান্য স্থানের মতো আশুলিয়া থানাতেও হামলা করে আগুন জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা। এখানে পুলিশ-ছাত্র-জনতাসহ বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছিল।
মন্তব্য করুন