• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
logo

নাসিরনগরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, কবরস্থান নদীগর্ভে বিলীনের শঙ্কা

আরটিভি নিউজ

  ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১৬:০১
নাসিরনগরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, কবরস্থান নদীগর্ভে বিলীনের শঙ্কা
ছবি : সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে নদী থেকে অবৈধভাবে চলছে বালু উত্তোলন। উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে স্থানীয় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় কবরস্থান, বাজারসহ, জমিজমা নদীগর্ভে বিলীনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া।

লিখিত আবেদন সূত্রে জানা গেছে, গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান লালুয়ারটুক গ্রামের বাসিন্দা শহীদুল হকের পুত্র আজহারুল হক, গোয়ালনগর গ্রামের মৃত দুদু মিয়ার পুত্র ইউনুছ মিয়া, আবুল হোসেনের পুত্র আশিক মিয়া, মৃত মফিজ উদ্দিনের পুত্র আইন উদ্দিন এবং দক্ষিণদিয়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের পুত্র মিন্দি আলী ও সৈয়দ মিয়ার পুত্র শাহিদ জামান গংরা সরকারি বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে অবৈধভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে মেঘনা নদী থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছে। ফলে স্থানীয় এলাকার বাজার, কবরস্থানসহ নিরীহ জনসাধারণের জমি ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে দাখিলকৃত লিখিত আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় গোয়ালনগর গ্রামের মৃত আবদুল কাদিরের পুত্র সুলতান মিয়া, মৃত বাদশা মিয়ার পুত্র নাহিজ মিয়া, মৃত শওকত আলীর পুত্র আরশ আলী, মাছমা গ্রামের ছায়েদুল হক মিয়ার ছেলে ইসরাইল মিয়া, শহিদ মিয়ার পুত্র বুলবুল এবং দক্ষিণদিয়া গ্রামের জিন্নত আলীর পুত্র মিলন অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বাধা দিলে ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল হক ও তার সঙ্গীরা বাধা প্রদানকারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।

এ রকম প্রেক্ষিতে অবৈধভাবে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় নদী তীরবর্তী গোয়ালনগর ইউনিয়ন এলাকার কবরস্থান, বাজারসহ বিভিন্ন অসহায়-নিরীহ মানুষের জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ২ দফায় এলাকায় পাঠানো হয়েছে। এসিল্যান্ডকে বিষয়টি তদারকি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর ইউএনও অফিসের সঙ্গে যোগসাজশের বিষয়টি একেবারেই সত্য নয়। এ বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।’

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল সাবেক ছাত্রদল নেতার
দায়ের কোপে প্রাণ গেল ভিক্ষুকের
দেশীয় অস্ত্রসহ ৪ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় র‍্যাবের অভিযানে মিলল নকল রিভলবার-পিস্তল