কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো বিপুল বর্জ্য
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে জোয়ারের সময় এসব বর্জ্য ভেসে আসে। তবে এ বিষয়ে জানে না জেলা প্রশাসন ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলী, কবিতা চত্বর, শৈবাল ও ডায়াবেটিস পয়েন্টে বালিয়াড়িজুড়ে পড়ে আছে প্লাস্টিকের বোতল, খড়, নাস্তার প্যাকেট, কাঁচের বোতল, পলিথিন, প্লাস্টিকের দড়ি, কাঠ ও বাঁশের টুকরো। এসব বর্জ্যের কারণে পর্যটকদের হাঁটাচলায় বিঘ্ন ঘটছে। তবে বিষয়টি অজানা জেলা প্রশাসন ও পর্যটন সেলের। বিকেল পর্যন্ত বর্জ্যগুলো অপসারণের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। চোখে পড়েনি বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির পরিচ্ছন্ন কর্মীদের।
সি সেইফ লাইফ গার্ডের কর্মী জয়নাল আবেদীন টিপু বলেন, দুপুরে জোয়ারের পানিতে এসব বর্জ্য ভেসে আসে। যা কলাতলী থেকে ডায়াবেটিস পয়েন্ট পর্যন্ত বিস্তৃত। কিন্তু বর্জ্য পরিষ্কারে কোনো তৎপরতা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চোখে পড়েনি।
জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেল সৈকতের সবকিছু দেখাশুনা করে। তবে মঙ্গলবার পর্যটন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটকে বদলি করা হয়েছে। তার স্থলে এসেছেন নতুন ম্যাজিস্ট্রেট। তাই বর্তমানে এক প্রকার অভিভাবকহীন বিশ্বের এই দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আতাউল গণি ওসমানী বলেন, এমন তথ্য জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন