নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার পদযাত্রা
নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নড়াইল চৌরাস্তা থেকে এ পদযাত্রা মিছিলটি বের হয়।
এ সময় তারা শেখ হাসিনার ফাঁসিসহ নানা দাবি তোলেন। পরে মিছিলটি শহরের পুরাতন বাস টার্মিনাল গোলচত্ত্বর প্রদক্ষিণ করে। সেখানে ছাত্র-জনতার পক্ষে ছাত্র ইমনসহ কয়েকজন বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন
গ্রিন কার্ড পেয়েছেন স্বামী, ইতালি যাওয়া হলো না তানিয়ার
প্রবাসী স্বামী আসলাম উদ্দিন কুদ্দুস ইতালির গ্রিন কার্ড পেয়েছেন। আট বছরের একমাত্র মেয়েকে নিয়ে প্রবাসী স্বামীর কাছে যাবেন তানিয়া আফরোজ (২৮)। ভিসার কাজে মা তহুরা বেগমকে (৫৫) নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। তবে তানিয়ার ইতালি যাওয়া আর হলো না। পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে মা-মেয়ের।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ অংশের কাশিয়ানী উপজেলার মাঝিগাতি এলাকায় তাদের বহনকারী যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়েসহ ছয়জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও ১০ জন।
জানা গেছে, নিহত তানিয়া আফরোজ খুলনা শহরের শিপইয়ার্ড স্কুলের সাবেক শিক্ষক আবু হাসানের মেয়ে। তার শ্বশুরবাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে। স্বামীর নাম আসলাম উদ্দিন কুদ্দুস। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইতালিতে। সম্প্রতি দেশটির গ্রিন পাসপোর্ট পেয়েছেন।
এদিন দুপুরে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিহতদের মরদেহ বুঝে নিতে এসে তানিয়া আফরোজের চাচাতো ভাই রেজা বলেন, ‘তানিয়া আমার কাজিন। ওর আট বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। ওর স্বামী ইতালিতে সদ্য গ্রিন কার্ড পেয়েছে। তানিয়া তার স্বামীর কাছে চলে যাবে কিছুদিনের মধ্যে এমন কথা ছিল। সব ঠিকঠাক। আজ ঢাকায় যাচ্ছিল ভিসার কাজে। ওর মেয়েকে বাবার বাসায় রেখে মাকে সঙ্গে করে ঢাকায় যাচ্ছিল। ভোর সাড়ে ৬টায় ইমাদ পরিবহনের একটি গাড়িতে রওয়ানা হয়। সাড়ে ৮টার পর আমরা খবর পাই তাদের গাড়ি এক্সিডেন্ট করেছে। তখনো জানতাম না তানিয়া কিংবা তার মা মারা গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকায় কাজ শেষ করে বিকেলেই ফেরার কথা ছিল তাদের। এখন ফিরবে লাশ হয়ে। আমরা পুলিশের কাছ থেকে লাশ বুঝে নেওয়ার জন্য এসেছি।’
এর আগে সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার মাঝিগাতি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থলে পাঁচজন নিহত হন।
ঢামেকে হামলা, গাইবান্ধা থেকে সঞ্জয় পাল গ্রেপ্তার
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় সঞ্জয় পাল জয় নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টার দিকে জেলা শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় রোববার দিনভর ছিল উত্তেজনা। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, বিচার, নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করাসহ চার দফা দাবিতে রোববার সকাল থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ (কর্মবিরতি) পালন করেন দেশের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
চিকিৎসক ও রোগীদের ওপর হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানা একটি মামলা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অফিস সহায়ক আমির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
পরে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে কর্মবিরতি স্থগিত করে প্রায় ১২ ঘণ্টা পর জরুরি বিভাগ খোলা রেখে কাজে ফেরেন চিকিৎসকরা। সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দেন তারা।
সঞ্জয় পাল জয়কে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা। তিনি জানান, ঢাকা মেডিকেলে হামলায় জড়িত থাকা সঞ্জয়কে নেওয়ার জন্য ঢাকা থেকে একটি টিম আসছে। তারা আসলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৪ দিন ধরে সড়কে পড়ে ছিল ল্যান্ড রোভার, অতঃপর...
৪ দিন ধরে চট্টগ্রাম নগরীর ওয়াসার মোড় এলাকায় পড়ে আছে একটি গাড়ি। তবে সেটি যেনতেন কোনো গাড়ি নয়, নামীদামি ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল ল্যান্ড রোভার। তবে এত দামি গাড়ি কে বা কারা এখানে ফেলে রেখে গেছেন তা জানা যায়নি।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাড়িটি পড়ে থাকতে দেখে খুলশী থানাকে জানায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পরবর্তীতে গাড়িটি জব্দ করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, ৪ দিন ধরে গাড়িটি এখানেই পড়ে আছে। পরে ব্যবসায়ীরা খুলশী থানাকে জানালে তাৎক্ষণিক গাড়িটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরবর্তীতে বিআরটিএ’র মাধ্যমে বিস্তারিত জেনে জানানো হবে।
বয়ানে সালমান-মানিকের সমালোচনা করায় চাকরি গেল ইমামের
জুমার খুতবায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক বিচারক শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের সমালোচনা করায় নড়াইলে এক ইমামকে বরখাস্তের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী ইমাম মুফতি হেদায়েত হোসাইন এ অভিযোগ করেন।
তিনি নড়াইল পৌরসভার উজিরপুর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন। একই সঙ্গে উজিরপুর ইসলামিয়া নুরানি মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন।
মুফতি হেদায়েত নড়াইল সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নের কাগজীপাড়া গ্রামের আবদুল গফফার মোল্যার ছেলে। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) তাকে বরখাস্তের পর মসজিদ থেকে বাড়িতে চলে যান তিনি।
অভিযোগ উঠেছে, নড়াইল পৌরসভার উজিরপুর মসজিদ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উজিরপুর ইসলামিয়া নুরানি মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমানের নির্দেশে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
আনিসুর রহমান নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলুর ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন। এ ছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী ইমাম মুফতি এম হেদায়েত হোসাইন নড়াইল সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নের কাগজীপাড়া গ্রামের আব্দুল গফফার মোল্যার ছেলে।
মুফতি এম হেদায়েত হোসাইন নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন। তখন থেকেই তাকে চাপ দিতে থাকে মসজিদ কমিটির লোকজন। এরপর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন গত ৫ আগস্ট মসজিদের মুসল্লিদের মিষ্টিমুখ করান তিনি।
সবশেষ শুক্রবার (৩০ আগস্ট) জুমার খুতবায় দুর্নীতিবাজ মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে বিশেষত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক বিচারক শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের সমালোচনা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আনিসুর রহমান। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার ইমাম হেদায়েত হোসাইনকে মসজিদ ও মাদরাসার দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করেন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান। এরপর সকাল ১০টার দিকে মসজিদ ছেড়ে চলে যান ওই শিক্ষক।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ইমাম মুফতি হেদায়েত হোসাইন বলেন, ‘আমার ওপর অর্পিত ইমামতি ও মাদরাসার শিক্ষকতার দায়িত্ব আমি যথাযথভাবে পালন করেছি। ছুটি ছাড়া একদিনও একটা ক্লাস বাদ দিইনি। নিয়মিত নামাজ পড়িয়েছি। কিন্তু বিচারক মানিক ও সালমান এফ রহমানের সমালোচনা করে জুমার খুতবায় বক্তব্য রাখায় আমাকে চাকরিচ্যুত করা হলো।’
মুফতি হেদায়েত বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আহত হওয়া শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার জন্য আমি অর্থ সংগ্রহ করেছিলাম। তখন থেকেই মসজিদ কমিটির আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হই আমি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমাদের মসজিদে চার বছর ধরে আব্দুল গাফফার নামে একজন ইমামতি করতেন। তিনি চলে যাবার পর মুফতি এম হেদায়েত হোসাইনকে ইমাম ও নুরানি মাদরাসার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় কমিটির সম্মতিক্রমে। ইমাম হিসেবে ভালো আলোচনা করলেও নুরানি মাদরাসায় পাঠদানের ক্ষেত্রে অভিভাবকরা তার প্রতি সন্তষ্ট নন। সে কারণে কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত মাসের ১৫ তারিখে ওই শিক্ষককে রাখা হবে না বলে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়।’
স্থানীয় মুসল্লি ও সাবেক কাউন্সিলর রজিবুল ইসলাম বলেন, ‘ওই মসজিদের অধিকাংশ মুসল্লি আওয়ামী লীগ সমর্থিত। যে কারণে এ বিষয়টি নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনি। ইমামকে এভাবে বাদ দেওয়া ঠিক হয়নি।’
কুমিল্লায় একই পরিবারের ৩ জনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
কুমিল্লার হোমনায় একই পরিবারের ৩ জনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, হোমনা উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া গ্রামের রেজাউলের মেয়ে মাহামুদা, মামাতো ভাই সাহাব এবং মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী তিশা।
হোমনা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে পরিকল্পিত হত্যা বলে ধারণা করছি। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
স্থানীয়রা জানান, বড় ঘাগুটিয়া গ্রামের মো. শাহপরান ঢাকায় একটি চাকরি করেন। বুধবার রাতে তার স্ত্রী-ছেলে ও এক ভাইয়ের মেয়ে তিশা ঘুমিয়ে ছিল। রাতের কোনো একসময় তাদেরকে দুর্বৃত্তরা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বন্যার্তদের ত্রাণ দিতে গিয়ে নিহত চবি শিক্ষার্থীর দাফন সম্পন্ন
বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ফাহিম আহমেদ পলাশ। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, বন্যার্তদের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রাণবাহী ট্রাকে নোয়াখালী যাওয়ার পথে গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ এলাকায় ট্রাকটি দুর্ঘটনায় কবলিত হয়। দুর্ঘটনায় ১২ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দিনাজপুর খানসামা উপজেলার বাসিন্দা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম আহমেদ পলাশকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৭ আগস্ট রাতে ভর্তি করা হয়।
নিহত ফাহিমের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুর্ঘটনার দুই দিন আগে থেকেই বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গত ২৬ আগস্ট রাত ৩টার দিকে ট্রাকে করে নোয়াখালী সেনবাগের উদ্দেশ্যে ত্রাণ নিয়ে রওনা দেয় শিক্ষার্থীরা। পথে মীরসরাই অতিক্রম করার পর জোরারগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে চালকের অসাবধানতার কারণে সামনে থাকা একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে সামনের আসনে থাকা দুজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন এবং ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ভাবকি ইসলামিয়া মাদরাসা মাঠে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জানাজার নামাজে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাজ উদ্দিন। এ সময় তিনি ফাহিম আহমেদ পলাশের পরিবারকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
শাহপরানের মাজারে যেসব কাজ নিষিদ্ধ হলো
সিলেটের হজরত শাহপরান (রহ.) মাজারে ওরসের নামে গান-বাজনাসহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) মাজার কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দেন।
জানা গেছে, প্রতি বছর নিয়ম অনুযায়ী রবিউল আউয়াল মাসের ৪, ৫ ও ৬ এই তিন দিন ওরসের আয়োজন করে থাকে মাজার কর্তৃপক্ষ।
কর্মসূচির মধ্যে প্রথম দিন খতমে কোরআন, দোয়া ও জিকির এবং মিলাদ মাহফিল। দ্বিতীয় দিন গিলাফ চড়ানো, গরু জবেহ, সারারাত জিকির ও মিলাদ মাহফিল এবং ভোর ৪টায় ফাতেহা পাঠ। শেষ দিন বাদ ফজর আখেরি মোনাজাতের পর নেওয়াজ বিতরণ করা হয়।
ওরস চলাকালে মাজার কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট কর্মসূচির বাইরে ভক্ত আশেকানরা প্যান্ডেল করে নাচ-গান-মদ-জুয়া, গাজা, অশ্লীলতা, নারী নৃত্যসহ বিভিন্ন অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া মেলার নামে জুয়ার রমরমা আসর বসানো হয় ওরসের সময়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা ইবাদত বন্দেগি ছেড়ে এই সকল আসরে সময় কাটান। সেসব রোধ করতে এবার এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মাজারের খাদিম সৈয়দ কাবুল আহমদ বলেন, মাজারে ওরস উপলক্ষে গান-বাজনা বন্ধ ঘোষণা করা হলো। কেউ বাদ্যযন্ত্র নিয়ে আসবেন না। এখানে প্রতি বৃহস্পতিবার যে গান-বাজনা করা হয় তা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেখা গেছে গান বাজনার আড়ালে এইখানে মাদকের ব্যবসা করা হয়। যা আমরা খাদিম পরিবার কোনোভাবে সমর্থন করি না। এগুলোর তীব্র নিন্দা জানাই। এখন থেকে বৃহস্পতিবারের গান-বাজনা বন্ধ থাকবে। কেউ যদি করার চেষ্টা করেন তাহলে আমরা তা প্রতিহত করব।
সিলেট সিটি করপোরেশেনের ৩৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন বলেন, মাজারে গান-বাজনা ও অশ্লীলতা বন্ধের বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে শাহপরান মাজারে গান-বাজনা, মাদক সেবনসহ সকল প্রকার অশ্লীল কার্যক্রম এখন থেকে বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহযোগিতা করবে। বিষয়টি তদারকি করার জন্য মুসল্লি, ছাত্র-জনতা ও আলেমদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন হবে।
এর আগে শুক্রবার বাদ জুমা এসব অসামাজিক-অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেন ছাত্র-জনতা, উলামা মাশায়েখ ও সর্বস্তরের মুসল্লিরা।