পঞ্চগড়ে আহমদিয়াদের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শনে মানবাধিকারকর্মীরা
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শন ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছেন দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দের একটি দল।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে জেলা শহরের অদূরে আহমদনগড় এলাকায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদ, জলসা অনুষ্ঠানের সরঞ্জাম কক্ষ ও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
এ সময় মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অনারারি পরিচালক অ্যাড. সারা হোসাইন, প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট মাহপারা আলম, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, নারীপক্ষ এর সদস্য কামরুন্নাহার, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের তথ্য ও প্রচার সম্পাদক দিপায়ন খিসা, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদের ইমাম সালাউদ্দীন, জামেয়া আহমদিয়া বাংলাদেশের অধ্যক্ষ মোবাশশের উর রহমানসহ আহমদিয়া সম্প্রদায়ের নেতা ও মানুষজন উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অনারারি পরিচালক এ্যাড. সারা হোসাইন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমরা ৫ তারিখের আগে ও পরে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়িঘর পরিদর্শন করেছি। এই সহিংসতায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের তালিকাও করছি। তাদের জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা পাশাপাশি পুনর্বাসনের জন্য আমরা সরকারের কাছে জানাবো। আমরা বৈষম্যর বিরুদ্ধে কথা বলছি। তাহলে কেন বারবার একটি সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করা হচ্ছে।
আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আমাদের বড় পরিচয় আমরা বাংলাদেশের মানুষ। তাদের কেন বারবার এমনটা ঘটছে। এ নিয়ে সামাজিক সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের শতাধিক বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনকে মারধর করে তারা। পরে আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর আগে ২০২৩ সালের ২ ও ৩ মার্চ আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
মন্তব্য করুন