• ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১
logo

রাজবাড়ীর একমাত্র সরকারি হাঁস-মুরগির খামারের বেহাল দশা

রাজবাড়ী প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০৬:১১
ছবি : আরটিভি

অব্যবস্থাপনা আর সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় রাজবাড়ীর একমাত্র সরকারি হাঁস-মুরগি খামারটি। দুই যুগ ধরে এ খামারে বন্ধ রয়েছে হাঁস ও মুরগির বাচ্চা উৎপাদন। ফলে বাচ্চা উৎপাদনের শেডসহ অন্যান্য স্থাপনা ভেঙে নষ্ট হচ্ছে কয়েক কোটি টাকার সরকারি সম্পদ।

কর্তৃপক্ষ বলছে, জনবল সংকটের কারণে খামারের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তবে খামারটি সংস্কার করে পুনরায় চালু করতে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান খামার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, রাজবাড়ী শহরের নতুন বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকার ভবানিপুর গ্রামে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক ঘেঁষে প্রায় ২ দশমিক ৮৮ একর জমির ওপর ১৯৮১-১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রাজবাড়ী সরকারি হাঁস-মুরগির খামার। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর’ কর্তৃক খামারটি পরিচালিত হয়। সাধারণ মানুষের মাংস ও ডিমের চাহিদা পূরণ এবং বেকারত্ব ঘুচিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার প্রতিষ্ঠা করে এ খামার। এখানে মুরগির বাচ্চা পালনের জন্য রয়েছে চারটি শেড। এছাড়া প্রশাসনিক ভবন, ব্যবস্থাপকের বাসভবন, অতিথিকক্ষ, বিক্রয়কেন্দ্র, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবন আছে।

খামারের ব্যবস্থাপকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খামারের জন্য বরাদ্দ করা জনবলের সংখ্যা মোট ১৪ জন। এরমধ্যে ইলেকট্রিশিয়ান, পোল্ট্রি টেকনিশিয়ানে দুইটি পদের বিপরীতে ১ জন, পোল্ট্রি ডেভেলপমেন্ট অফিসার ও হ্যাচারি এটেন্ডেন্ট পদে জনবল আছে। এছাড়া ব্যবস্থাপক, পোল্ট্রি টেকনিশিয়ান (২), অফিস সহকারী, ড্রাইভার, পোল্ট্রি এটেন্ডেন্ট, নৈশ প্রহরী, এলএমএসএস ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদগুলো শূন্য রয়েছে।

জেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালের ভেটেরিনারি অফিসার ডা. মো. কামাল বাশার খামারের ব্যবস্থাপকের অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন। আর হ্যাচারি এটেন্ডেন্ট আলমগীর আকন প্রেষণে নিজের সুবিধামতো স্থানে কর্মরত আছেন। প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে খামারের কার্যক্রমে স্থবিরতা বিরাজ করছে। এমনকি নামে হাঁস-মুরগির খামার হলেও আজ পর্যন্ত এখানে হাঁস পালনের কোনো কার্যক্রম শুরুই করা হয়নি।

খামারের কারিগরি বিষয় দেখভালের দায়িত্বে থাকা পোল্ট্রি টেকনিশিয়ান রবিউল ইসলাম বলেন, খামার প্রতিষ্ঠার সময় চারটি শেড নির্মিত হয়। মুরগির বাচ্চা পালনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল বছরে ২০ হাজার। কিন্তু দুটি শেড দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় এখন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে মুরগির বাচ্চা পালন করা হয়েছে ১২ হাজার ৪০৫টি। জেলার চাহিদা মেটাতে এখন পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে বাচ্চা আনতে হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ফেসবুকে পরিচয়, প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে যা ঘটল
হঠাৎ চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিনে ধোঁয়া, এরপর যা ঘটল
রাজবাড়ীতে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
এক বোয়ালের দাম ৪৫ হাজার টাকা