চট্টগ্রামে তিন উপজেলায় কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি
টানা বৃষ্টি ও বন্যায় চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ফটিকছড়ি, সীতাকুণ্ড ও মীরসরাই উপজেলায় ২০ হাজারের বেশি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। নদীভাঙন ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফটিকছড়ি উপজেলা।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরের পর থেকে ফটিকছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়ক যোগাযোগও বন্ধ হয়ে গেছে।
টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে হালদা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। পাশাপাশি নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের কারণে পানি ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। চট্টগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় তিনটি উপজেলার ২০ হাজার ১৭৫টি পরিবারের ৯৫ হাজার ৯০০ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় ১৩২টি আশ্রয় কেন্দ্র এবং ২৯০টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে চট্টগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, টানা বর্ষণে চট্টগ্রামের তিনটি উপজেলা- ফটিকছড়ি, সীতাকুণ্ড ও মীরসরাই ভেসে গেছে। এ তিনটি উপজেলায় ৩১টি ইউনিয়ন পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ফটিকছড়িতে ১৩টি ইউনিয়নের ৩ হাজার ১৭৫টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৫ হাজার ৯০০ মানুষ। মীরসরাইয়ে ১২টি ইউনিয়নের ১২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে ৬০ হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সীতাকুণ্ডের ৬টি ইউনিয়নে ৫ হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এতে ২০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সোহাগ তালুকদার বলেন, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে গত তিন দিন ধরে হালদা নদীর বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার রাত থেকে কিছুটা উন্নতি ঘটলেও ভোর থেকে টানা বৃষ্টিতে আবার পানি বাড়ছে।
মন্তব্য করুন