• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
logo

নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ত্রাণের জন্য হাহাকার

নোয়াখালী প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১১:৩৮
সংগৃহীত ছবি

রাতভর প্রবল বর্ষণ ও উজানের ঢলে নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। কিছু এলাকার পানি কমলেও তা খুবই ধীরগতিতে। এখনও তলিয়ে আছে পথ-ঘাট, ঘরবাড়িতে পানি থাকায় এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে আছে মানুষ।

জেলার প্রায় ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে খাদ্য সংকটে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ জেলায় বন্যায় এ পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এর মধ্যেই মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাতভর বজ্রসহ ভারী বর্ষণে পানি আরও ছয় ইঞ্চি বেড়ে গেছে। ফলে সেখানে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হচ্ছে। এতে অধিকাংশ জায়গায় দেখা দিয়েছে ত্রাণের জন্য হাহাকার।

জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দিনে বৃষ্টি হয়নি, কেবল রাতে হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেজন্য কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হচ্ছে।

জানা গেছে, নোয়াখালীর ৮ উপজেলার ৮৭ ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। ১ হাজার ১৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ২ লাখ ১৬ হাজার মানুষ। প্রধান সড়কের আশপাশে সহযোগিতা পেলেও প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে পৌঁছায়নি ত্রাণ সহায়তা। এতে সহায়তার জন্য বিভিন্ন স্থানে হাহাকার করতে দেখা গেছে।

জেলা শহরের বাসিন্দা মো. হামিদুর রহমান বলেন, ‘নোয়াখালীর মাইজদীতে রাত থেকে বজ্রসহ ভারী বর্ষণে পানি আরও ৬ ইঞ্চি বেড়ে গেছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হচ্ছে। আল্লাহ সহায় হোন।’

সুবর্ণচরের বাসিন্দা হাসানুর রহমান কাজল বলেন, ‘রাতভর বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। কোন কোন জায়গায় পানি কমছে তাও অত্যন্ত ধীরগতিতে। এখনো তলিয়ে আছে পথ-ঘাট, ঘরবাড়িতে পানি থাকায় এখনও আশ্রয় কেন্দ্রে আছে মানুষ। সেখানে খাবার সংকট রয়েছে। বিশেষ করে দুর্গম গ্রামীণ এলাকা, যেখানে নৌকাছাড়া যোগাযোগ করা যায় না, সেখানে কোনো ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি।’

এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, নোয়াখালীর ৮ উপজেলার ৮৭ ইউনিয়নের পানিবন্দি মানুষের মধ্যে সরকারিভাবে নগদ ৪৫ লাখ টাকা, ৮৮২ টন চাল, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৫ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ৫ লাখ টাকার পশুখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা জেলা প্রশাসন কাজ করছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গম এলাকায় শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলা থেকে সহায়তা আসছে। বিভিন্ন এলাকার মানুষ সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবীরা নিরলসভাবে কাজ করছে। বৃষ্টি না হলে আমাদের বন্যা পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হবে।’

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
তিন দিন যেসব বিভাগে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
নোয়াখালীতে ১০ হাজার পরিবারের মাঝে পপির ত্রাণ বিতরণ
পুলিশ সদস্যের সঙ্গে রোহিঙ্গা কিশোরীর প্রেম, অতঃপর...
আগস্টের বন্যায় সাড়ে ৯ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত, ৭৪ জনের প্রাণহানি