নির্যাতনের শিকার সেই হাতি উদ্ধার, মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
অবশেষে নির্যাতনের শিকার সেই হাতিকে উদ্ধার করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে গাজীপুর সাফারি পার্কে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার সোনাইউল্লাহ এলাকা থেকে হাতিটি উদ্ধার করে বন বিভাগ।
কুমিল্লার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জি এম মোহাম্মদ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একটি হাতির পায়ে শিকল বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওটি যাচাই করে তা শনাক্তের পরে হাতিটিকে উদ্ধার করতে মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঘটনার তদন্ত শুরু করে নির্যাতনের স্থান কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকার বলে নিশ্চিত করে বন বিভাগ। কয়েক দিনের প্রচেষ্টায় সবশেষ গত বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে হাতিটির অবস্থান কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাখরাবাদ এলাকায় শনাক্ত করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার স্থানীয়দের সহযোগিতায় নির্যাতিত হাতিটিকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে হাতিটিকে গাজীপুর সাফারি পার্কে পাঠানো হয়েছে।
জি এম মোহাম্মদ কবি আরও বলেন, খোঁজ নিয়ে জেনেছি ঘটনাটি গত ২৪ আগস্টের। হাতিটির সঙ্গে তিনজন মাহুত ছিলেন। তারা হাতিটিকে দিয়ে বিভিন্ন দোকানপাটে ঘুরে ঘুরে টাকা তুলতেন। টাকা তোলার সময় হাতিটি হঠাৎ বেপরোয়া হয়ে যায়। এ সময় দাউদকান্দি এলাকার বেশ কয়েকটি দোকানে তাণ্ডব চালায় হাতিটি। পরে হাতিটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সঙ্গের তিন মাহুত হাতিটিকে আঘাত করতে থাকে। সে সময় ঘটনাস্থলে থাকা কেউ একজন এর দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করে তা ফেসবুকে পোস্ট করলে মুহূর্তের মধ্যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। বিষয়টি নজরে আসে পরিবেশ উপদেষ্টার। এরপর তিনি ওই হাতিটিকে উদ্ধারের নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় হাতির মালিক এবং তিন মাহুতের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন