সেনবাগে বন্যার পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও কমেনি দুর্ভোগ
টানা ভারী বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার কবলে পড়া নোয়াখালীর সেনবাগে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার পর গত তিন দিনে পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। উপজেলায় প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে এখনও ত্রাণের সংকট রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণের গাড়ি দেখলেই ছুটে যাচ্ছেন দুর্ভোগে থাকা বন্যার্তরা। বন্যাদুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও শিশু খাদ্যের চরম সংকট। এখনও ত্রাণের জন্য চারদিকে মানুষের হাহাকার। বন্যাকবলিত প্রতিটি এলাকায় রয়েছে নৌযানের সংকট। সড়কের পাশের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ছাড়া গ্রামগুলোর ভেতর ত্রাণ সামগ্রী ঠিকভাবে পৌঁছে না। ফলে ওইসব পানিবন্দি মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে সড়কের ক্ষতচিহ্ন দৃশ্যমান হচ্ছে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সরেজমিনে উপজেলার বন্যাকবলিত কাদরা, জিরুয়া, মগুয়া, বাবুপুর শ্রীপুর, ডমুরুয়া, হরিনকাটাসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, ধীরগতিতে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। এ উপজেলায় এখনও কমপক্ষে দেড় লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।
সেনবাগ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. এনামুল হক বলেন, বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় থেকে এই উপজেলায় দুশ’ ১৫ টন চাল এবং সাড়ে চার লাখ টাকার নগদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জিসান বিন মাজেদ বলেন, গত কিছুদিনের টানা বর্ষণ আর উজানের পানির কারণে সেনবাগে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। এখন পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে। ধীর গতিতে হলেও পানি কমতে শুরু করেছে। আর বৃষ্টি না হলে আশা করছি, পানি আরও কমে যাবে।
মন্তব্য করুন