লক্ষ্মীপুরে ২০০ ফিট মাটি ফেলে মরদেহ দাফন
লক্ষ্মীপুরে এলাকাবাসীর সহায়তায় হাঁটুসমান পানিতেই ২০০ ফিট মাটি ফেলে স্ত্রীর মরদেহ দাফন করেছেন কালু মিয়া নামে আশি বছর বয়সী এক বৃদ্ধ। এবারের বন্যা কতটা ভয়ঙ্কর ও নিষ্ঠুর তা এ ঘটনার মাধ্যমেই ফুটে উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে লক্ষ্মীপুরের মান্দারী আমিনবাজার এলাকায় দেখা যায়, বৃদ্ধ কালু আহাজারি করছেন।
এ সময় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘বন্যার পানিতে সব ভেসে গেছে। স্ত্রী ছিল সেও মারা গেছে। এখন আমি একা। স্ত্রীর মৃত্যুর পর যেভাবেই হোক দাফন করতে চেয়েছিলাম পারিবারিক কবরস্থানেই। কিন্তু চারিদিকে পানি, স্ত্রী মরদেহ দাফন করবো কীভাবে? কোনো উপায় নেই। পরে হাঁটুসমান পানিতে স্ত্রীকে দাফন করা হয়।’
পানির মধ্যে দাফনের বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, কবরস্থানে হাঁটুসমান থাকায় প্রায় ২০০ ফিট মাটি ফেলে কালু মিয়ার স্ত্রীকে দাফন করা হয়। অনেকে বলেছিলেন, ভেলায় মধ্যে রাখার জন্য। তবে সবাই চিন্তা করেই এভাবেই দাফন করার সিদ্ধান্ত নয়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুধু কালু মিয়া নন বানের পানিতে কবরস্থান তলিয়ে থাকায় মৃতদের দাফন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এলাকার অন্য বানভাসিরা। লক্ষ্মীপুরের অনেক এলাকা থেকে বন্যার পানি নামলেও কিছু জায়গায় এখনও বাড়ছে। এ কারণে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রেই স্বজনদের নিয়ে বসবাস করছেন বন্যার্তরা।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে বন্যার পরও মাত্র ৭ দিনে পানি পুরোপুরি নেমে গেলেও এবার সেরকমটি হতে দেখা যাচ্ছে না। তবে দ্রুত পানি নেমে যাবে বলে আশা করছেন এলাকাবাসী।
মন্তব্য করুন