চট্টগ্রাম চেম্বারের পদ ছাড়লেন আরও ১০ পরিচালক
বিনা ভোটে নির্বাচিত চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালকেরা অবশেষে ‘গণপদত্যাগ’ করছেন। রোববার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১০ জন পরিচালক পদত্যাগ করেছেন। এর আগে পদত্যাগ করেন দুজন। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বাকি ১২ জনের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমের মেয়ে রাইসা মাহবুবও।
গত ১৮ আগস্ট সকাল ১০টায় আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের চেম্বার কার্যালয়ের সামনে বৈষম্যের শিকার ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ সমাবেশ মানববন্ধন করেন। গত ৫ আগস্ট দেশে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর চেম্বার ঘিরে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসে। ব্যবসায়ীদের বঞ্চিত করে ‘পরিবারতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠা করার অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে আসছিলেন তারা।
এ পরিস্থিতিতে গত ২৮ আগস্ট জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি তরফদার রুহুল আমিন ও পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী পদত্যাগ করেন। এই দুজনের পদত্যাগের চার দিনের মাথায় আরও ১০ জন পদত্যাগ করলেন। ১১৮ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই চেম্বার থেকে প্রথম পদত্যাগের ঘটনা ঘটে ওমর হাজ্জাজের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের মেয়াদে। গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর নতুন বোর্ড দায়িত্ব নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে পরিচালক হিসেবে প্যাসিফিক জিনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর পদত্যাগ করেছিলেন। সেই রেকর্ড ভেঙে গেছে এবার।
কারণ, এখন ২৪ জন পরিচালকের মধ্যে ১২ জন পদত্যাগ করেছেন। চট্টগ্রাম চেম্বারে সর্বশেষ ভোটাভুটি হয়েছিল ২০১৩ সালের ৩০ মার্চ। টানা পাঁচবার ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সর্বশেষ বিনা ভোটের নির্বাচন হয় গত বছরের আগস্টে। প্রথমে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালকেরা নির্বাচিত হয়েছেন। ব্যবসায়ীদের মূল দাবি হলো, চট্টগ্রাম চেম্বারে সুষ্ঠু নির্বাচন।
এর আগে টানা পাঁচ নির্বাচনে ভোটাভুটি হয়নি চট্টগ্রাম চেম্বারে। গণপদত্যাগের ফলে এখন গণতান্ত্রিকভাবে ভোটাভুটির সুযোগ তৈরি হলো।
চেম্বারের সাবেক সহসভাপতি তরফদার রুহুল আমিন বলেন, আমি আগে পদত্যাগ করেছি যেহেতু বর্তমান কমিটি ব্যবসায়ীদের কল্যাণে কোনো কাজ করতে পারেনি এবং চেম্বার ঘিরে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে সাধারণ সদস্যদের সেবায় বিঘ্ন ঘটছে। এ পরিস্থিতিতে সাধারণ ব্যবসায়ীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে বর্তমান বোর্ড পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
মন্তব্য করুন