মেহেরপুর জেলায় জমা পড়েছে ৭৩ অস্ত্র
মেহেরপুর জেলায় লাইসেন্সকৃত ৯৩টি অস্ত্রের মধ্যে গেল মধ্য রাত পর্যন্ত জমা পড়েছে ৭৩টি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি নেতা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রয়েছেন।
মেহেরপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি আদেশ প্রতিপালনে এসব অস্ত্র ও লাইসেন্স জমা দেওয়া হয় স্ব স্ব থানাগুলোতে।
এতে দেখা গেছে, মেহেরপুর জেলায় ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে গেল ৫ আগস্ট পর্যন্ত অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়েছেন ৯৩ জন। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা ছাড়াও বিএনপি নেতা, সামরিক বাহিনীর সদস্য, আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যাংক এবং আমলারা রয়েছেন।
সরকারি আদেশে অস্ত্র ও লাইসেন্স জমা দেওয়ার নির্দেশনার আলোকে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) মধ্য রাতে শেষ সময় পর্যন্ত ৭৩টি অস্ত্র ও লাইসেন্স তিনটি থানায় জমা পড়েছে। অস্ত্র দাখিলের আওতার বাইরে থাকা বাকি ২০টি অস্ত্র সামরিক-অসামরকি র্কমর্কতা ও বভিন্নি আর্থিক প্রতষ্ঠিানের অধীনে রয়েছে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিদায়ী জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং তার ভগ্নিপতি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীনের ছেলে তানভির আহম্মেদ খান রানা, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র মাহফিজুর রহমান রিটন, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস শুকুর ইমন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জিয়াউর রহমান মুকুল অস্ত্র ও লাইসেন্স জমা দিয়েছেন।
মুজিবনগর থানায় অস্ত্র ও লাইসেন্স জমা দেওয়া হয়েছে ৬টি। এর মাধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিদায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু এনপিবি পিস্তল ২৩ রাউন্ড গুলিসহ জমা দিয়েছেন। ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে থাকা মিলু অস্ত্র জমা দিয়েছেন তার স্ত্রীর মাধ্যমে। থানায় জমা দেওয়া বাকি ৫টি অস্ত্রের মধ্যে সাবেক সেনাসদস্যের একটি শর্টগান এবং ৪টি দোনালা বন্দুক রয়েছে।
মন্তব্য করুন