• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১
logo

৮ মাস ধরে বন্ধ সারিয়াকান্দির নারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫১
ছবি : সংগৃহীত

বগুড়ার সারিয়াকান্দির মা ফাতেমা (রা.) নারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গত ৮ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। ডিডব্লিউএ ইউসেফ বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রয়েছে। এতে করে গ্রামীণ অবহেলিত নারীরা প্রশিক্ষণ ও চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

অবহেলিত নারী জনগোষ্ঠির উন্নয়নে ২০০০ সালে প্রশিক্ষণকেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর ৬ বছর পর ২০০৬ সালে কেন্দ্রটি রাজস্ব খাতের অন্তর্ভুক্তি লাভ করে। ২০১৪ সালে গ্রামীণ অবহেলিত নারীদের জন্য শুরু হয় সিএনজিচালিত থ্রি হুইলার ড্রাইভিং এবং মোটরসাইকেল মেকানিক্স প্রশিক্ষণ কোর্স।

তখন থেকেই কেন্দ্রটিতে গ্রামীণ দরিদ্র, স্বামী পরিত্যাক্তা এবং বাল্যবিয়ের শিকার নারীদের বিভিন্ন দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকুরির ব্যবস্থা করা হয়। এখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীরা ইউসেফ এর সহায়তায় প্রাণ আরএফএল গ্রুপ, উত্তরা মটরস, দুরন্ত গ্যালারি, মেটাডোর এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকসহ বিভিন্ন কোম্পানিতে কর্মরত রয়েছেন। ৩ মাসের কোর্সে মোটরসাইকেল মেকানিক, কনজিউমার ইলেক্ট্রনিক্স এবং ইলেকট্রিশিয়ান তিনটি ট্রেডে এখানে ৫০ জন করে গ্রামীণ অবহেলিত নারী প্রশিক্ষণের সুযোগ পান। তাদের মধ্যে মোটরসাইকেল মেকানিক্সে ১০ জন, কনজিউমার ইলেকট্রনিক্সে ২০ জন এবং ইলেক্ট্রিশিয়ানে ২০ জন। প্রশিক্ষণার্থীরা এখানে ফ্রিতে থাকা-খাওয়ার সুবিধাও পান। নারীরা অবসর সময়ে টিভি দেখতে পারেন এবং বিশালাকার মাঠে খেলাধুলা করতে পারেন।

এখানে সাধারণত আদিবাসী নারীরাই বেশি ট্রেনিং নিয়েছেন এবং চাকরি পেয়েছেন। তারা সাধারণত রাজশাহী, নওগাঁ এবং দিনাজপুর জেলা থেকে আসেন। আদিবাসী নারীরা সাঁওতাল, ওঁরাও এবং পাহান বংশের অধিবাসী। এছাড়া স্বামী পরিত্যাক্তা এবং বিধবা গ্রামীণ নারীরাও এখানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ৩ মাসের প্রশিক্ষণকালে থাকা-খাওয়া ফ্রিসহ তারা ৯০০ টাকা ভাতা পান। এরপর তারা বিভিন্ন কোম্পানিতে ভালো বেতনের চাকরি করেন।

কেন্দ্রটির একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ জনবল কাঠামো ১৩ জন। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত এখানে ১২১২ জন নারী সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার নারী দেশের বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছেন।

এ বিষয়ে সারিয়াকান্দি উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা লায়লা পারভিন নাহার বলেন, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত এখানে ১২১২ জন নারী সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। চুক্তিভিত্তিক প্রজেক্টটির মেয়াদ গত ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রশাসক মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, এটি একটি চমৎকার প্রতিষ্ঠান। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি দ্রুত চালু করতে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করেছি। আশা করা যাচ্ছে, খুব দ্রুত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি চালু হবে।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শেখ হাসিনার পদত্যাগে সারিয়াকান্দিতে বিজয় মিছিল
বিপৎসীমার নিচে সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি
সারিয়াকান্দিতে রাতের আঁধারে কিশোর খুন
সারিয়াকান্দিতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ২ প্রার্থী