ভৈরব নদ সংস্কারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্মারকলিপি
চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদীর সঙ্গে ভৈরব নদের সংযোগ ও নদী সংস্কারে নামে অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলনের নেতারা।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে এ স্মারকলিপি দেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্রিটিশ আমলে নদীর ওপর দর্শনা চিনিকল নির্মাণ করায় ভৈরব নদের সঙ্গে মাথাভাঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি প্রবাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যার ফলে এই অঞ্চলের নদী ব্যবস্থাপনা প্রাণ-প্রকৃতি, জীব-বৈচিত্র ও পরিবেশ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে। জলাবদ্ধতা, লবণাক্ততা, ভূ-গর্ভস্থ পানি সংকটের প্রভাবে জনজীবন নানা ধরনের সংকটে পড়েছে। ষাটের দশক থেকে নদী সংস্কারে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। বরং পরিস্থিতি আরও জটিল ও ব্যাপক দুর্নীতি-অনিয়মের কারণে অর্থ অপচয় হয়েছে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভৈরব নদ সংস্কারে ২৭২ কোটি ৮১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার গৃহীত প্রকল্প গত জুন মাসে পানি উন্নয়ন বোর্ড সমাপ্তি ঘোষণা করেছে। সংস্কার কাজে নদীতট আইন মানা হয়নি, যথাযথভাবে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হয়নি, নদী খননের মাটি নদীগর্ভে ফেলা হয়েছে। নদী খননের সময় নদীর মাঝ বরাবর উঁচু রেখে দুই পাশ গভীর করে পানি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি নদী কাটার সময় দেওয়া আড়াআড়ি বাঁধ অপসারণ করে হয়নি। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ৫২টি ব্রিজ নৌ-চলাচলের উপযোগী করে পুনর্নির্মাণ করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আফসার আলী, উপদেষ্টা ইকবাল কবীর জাহিদ, সদস্য জিল্লুর রহমান ভিটু, কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক অনিল বিশ্বাস প্রমুখ।
মন্তব্য করুন