• ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

অর্থাভাবে গুলিবিদ্ধ সিফায়েতের ওষুধ কিনতে পারছে না পরিবার

নড়াইল প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:৪০

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার শিক্ষার্থী মো. সিফায়েত চৌধুরী (২৬)। গত ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ সিফায়েতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা।

সেখানে চিকিৎসার পর তাকে নেওয়া হয় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)। এরপর কিছুটা সুস্থ হলে ৩০ আগস্ট ছাড়পত্র নিয়ে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের চাপাইলে গ্রামের বাড়িতে আসেন।

পরিবার বলছে, এখনো পুরোপুরি সুস্থ নয় সিফায়েত। ভালো করে কথা বলতে পারছে না। অর্থের অভাবে তার উন্নত চিকিৎসা দূরে থাক, পরিপূর্ণ যত্ন ও ওষুধ কিনতে পারছেন না তারা।

জানা যায় আসাদ চৌধুরী ও মরজিনা বেগমের চার সন্তানের মধ্যে সবার ছোট সিফায়েত। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে অনেক আগে। বড় দুই ভাই মসজিদে ইমামতি করে কোনোমতে সংসার চালান। ভাইদের সহযোগিতা ও টিউশনি করেই এতদিন পড়ালেখা চলেছে সিফায়েতের। ডিগ্রি শেষ করে গত ১৫ জুলাই ঢাকায় উঠেছিলেন বড় বোনের বাসায়। উদ্দেশ্য ছিল মাস্টার্সে ভর্তি হওয়া ও চাকরির চেষ্টা করা।

সিফায়েত জানান, ৫ আগস্ট নবীনগরে আন্দোলনে গিয়েছিলাম, আরও অনেক লোক ছিল। আন্দোলনে পুলিশ ছররা গুলি ছুড়েছিল। পরের কিছু মনে নাই।

সিফায়েতের মেজ ভাই বলেন, জুলাইয়ের ১৫ তারিখে ঢাকা যায় সিফায়েত। ৫ আগস্ট হঠাৎ একটি নম্বর থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয়, আন্দোলন গিয়ে সিফায়েত মারা গেছে। তিনি ঢাকায় গিয়ে দেখেন, সিফায়েতের চার থেকে পাঁচটি গুলি লেগেছিল, অপারেশন করে তা বের করা হয়েছে। প্রথম দিকে দামি ওষুধপত্র অধিকাংশই নিজেদের কিনতে হয়েছে। পরে সরকারিভাবে চিকিৎসা হয়। কিন্তু ঢাকায় থাকা-খাওয়া ও টুকটাক ওষুধপত্র কেনার খরচ বহন করতেই তাদের হিমশিম খেতে হয়েছে। এখন আর সিফায়েতের চিকিৎসা ব্যয় টানার মতো সক্ষমতা তাদের নেই।

বড় ভাই রুবেল চৌধুরী বলেন, সিফায়েতের ওষুধ শেষ হয়ে গেছে। টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে পারছি না। সুস্থ হতে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু আমরা আর্থিক সমস্যার কারণে চিকিৎসা করাতে পারছি না। সরকারের কাছে আমরা উন্নত চিকিৎসার দাবি জানাই।

চাচা ইউনুস চৌধুরী বলেন, এরা আর্থিকভাবে খুবই অস্বচ্ছল। দুই ভাই ইমামতি করে ৪ হাজার টাকা করে বেতন পায়, তাই দিয়ে সংসার চলে। সিফায়েতের গুলি লাগার খবর পাওয়ার পর ঢাকা যাওয়ার টাকাও আমরা সবাই মিলে দিয়েছি।

পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মল্লিক মাহমুদুল ইসলাম বলেন, আমার এলাকার ছেলে সিফায়েত আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়। ঢাকায় চিকিৎসা হলেও সে পুরো সুস্থ হয়নি, তার আরও চিকিৎসার প্রয়োজন। তাদের আর্থিক অবস্থাও ভালো নয়। সিফায়েতের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।

আরটিভি/এফআই/এআর

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল আরও ১০ জনের 
খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের পুনর্বাসনের প্রশ্নই আসে না: সারজিস
আন্দোলনে একাই ২৮টি গুলি ছোড়েন ফরিদ, অবশেষে গ্রেপ্তার 
দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১