জেলা রেজিস্ট্রার ও দামুড়হুদা সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা
চুয়াডাঙ্গায় লাইসেন্স নবায়ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে জেলা রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আব্দুল মোতালেব ও দামুড়হুদা সাব-রেজিস্ট্রার এম নাফিজ বিন জামানের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ওই ঘটনায় বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা আমলী আদালতে দামুড়হুদা সাব-রেজিস্ট্রার এম নাফিজ বিন জামানকে প্রধান আসামী ও জেলা রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আব্দুল মোতালেবকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী দলিল লেখক কুতুব উদ্দীন। মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) তদন্ত করার নির্দেশ দেন চুয়াডাঙ্গা আমলী আদালতের বিচারক।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, দামুড়হুদার দেউলী গ্রামের মৃত নূর হোসেনের ছেলে কুতুব উদ্দীন দামুড়হুদা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের একজন দলিল লেখক (সনদ নং ৯২)। তিনি ২০০৭ সাল থেকে ওই অফিসে কাজ করে আসছেন। গত ২৫ জুলাই কুতুব উদ্দীন তার লাইসেন্স নবায়ন করতে গেলে দামুড়হুদা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম আপত্তি করেছেন বলে জানান সাব-রেজিস্ট্রার এম নাফিজ বিন জামান। লাইসেন্স নবায়নের জন্য অনুরোধ করলে জেলা রেজিস্ট্রারের সঙ্গে আলোচনা করে লাইসেন্স নবায়ন করে দেবেন বলে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন সাব-রেজিস্ট্রার এম নাফিজ বিন জামান। পরে গত ২৯ জুলাই জেলা রেজিস্ট্রার ও দামুড়হুদা সাব-রেজিস্ট্রারকে ৩ লাখ টাকা দেন কুতুব উদ্দীন। টাকা নেওয়ার পর ১ মাসের মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন করে দেবেন বলে অঙ্গীকার করেন তারা।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। পরে দামুড়হুদা সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে লাইসেন্স নবায়নের বিষয়ে জানতে চান কুতুব উদ্দীন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে লাইসেন্স আর নবায়ন করা সম্ভব নয় বলে জানান জেলা রেজিস্ট্রার ও দামুড়হুদা সাব-রেজিস্ট্রার। তখন দলিল লেখক কুতুব উদ্দীন তার লাইসেন্স নবায়নের জন্য দেওয়া ৩ লাখ টাকা ফেরত চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানান জেলা রেজিস্ট্রার ও দামুড়হুদা সাব-রেজিস্ট্রার। পরে আজ বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী কুতুব উদ্দীন।
কুতুব উদ্দীনের আইনজীবী আব্দুল খালেক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাইসেন্স নবায়নের নামে ৩ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি আমলে নেন চুয়াডাঙ্গা আমলী আদালতের বিচারক। পরে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) তদন্ত করার নির্দেশ দেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা জেলা রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আব্দুল মোতালেবকে ঘুষের টাকা নেওয়ার সময় হাতে-নাতে ধরে উত্তম-মধ্যম দেয় সাধারণ জনগণ। ওই ঘটনায় বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা একটি মামলা দায়ের করেন জেলা রেজিস্ট্রার। ওই মামলায় দলিল লেখক কুতুব উদ্দীনকেও আসামী করা হয়।
আরটিভি/এএএ
মন্তব্য করুন