মেহেরপুরে জামায়াত নেতা হত্যায় ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মেহেরপুর সদর উপজেলার হিজুলি গ্রামের জামায়াত নেতা ও ইউপি মেম্বর আব্দুল জব্বারকে গুলি করে হত্যা করে বন্দুকযুদ্ধ বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মেহেরপুর আমলি আদালতে দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে তৎকালীন পুলিশ সুপার এ কে এম নাহিদুল ইসলামকে।
২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর জামায়াত নেতা আব্দুল জব্বারকে পুলিশ আটক করে। ওই রাতেই গুলি করে তাকে হত্যার পর বন্দুকযুদ্ধ হিসেবে ঘটনা ভিন্নখাতে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
আব্দুল জব্বার হত্যাকাণ্ডের মামলায় এজাহার নামীয় ২৬ জন আসামির মধ্যে রয়েছেন- তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদ মোমিন মজুমদার, সদর থানার এসআই শরজিদ কুমার ঘোষ, ওসি তদন্ত তরিকুল ইসলাম, এসআই গাজী ইকবাল হোসেন, কনস্টেবল সাধন কুমার ও নারদ কুমার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রসুল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম। এ ছাড়াও অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল মালিতা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানায় এফআইআরএর নির্দেশ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী কামরুল ইসলাম।
মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নিহত আলহাজ আব্দুল জব্বার ইসলামি ভাবাদর্শের তৃণমূলে নেতা এবং আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বর) ছিলেন। পরবর্তী নির্বাচনে তিনি আমঝুপি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন।
মামলার আর্জিতে আরও বলা হয়েছে, আব্দুল জব্বারের পাশাপাশি তার ছেলেকেও (মামলার বাদী) গ্রেপ্তার করে সদর থানা হাজতে রাখা হয়। পরে ছেলেকে একটি মামলা আদালতে সোপর্দ করা হলেও আব্দুল জব্বারকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন শেষে বুকে পিঠে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার দুই মাস পর বাদী জামিনে মুক্তি পেয়ে সাক্ষীদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানতে পারেন।
আরটিভি নিউজ/এএএ/এসএ
মন্তব্য করুন