গাইবান্ধায় ঘাঘট লেক পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু
গাইবান্ধার ঘাঘট লেকে মশক উৎপাদন ক্ষেত্র কচুরিপানা অপসারণের উদ্বোধন করলেন নতুন জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে ঘাঘট লেকে দীর্ঘদিন থেকে জমে জমে থাকা এই কচুরিপানা অপসারণের কাজ শুরু করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. মোশারফ হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও পৌরসভার প্রশাসক মো. শরিফুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদ আল হাসান, উপজেলা প্রকৌশলী বাবলু মিয়া, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজাউল হক।
জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ বলেন, কচুরিপানা পরিষ্কার একটি সিম্বল মাত্র। এরপর আমরা গাইবান্ধাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সকল ধরনের অন্যায়, অত্যাচার ও অবিচার নির্মূল করব। এজন্য তিনি সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরটিভি/এএএ
মন্তব্য করুন
সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কা, বেঁচে আছেন সেই কিশোর
রংপুরে ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত কিশোর লিখন মিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখন মারা গেছে বলে যে তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে, তা সঠিক নয়। বর্তমানে লিখন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সে এখন অনেকটাই সুস্থ।
আহত লিখন মিয়া রংপুর মহানগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য বিনাটারি গ্রামের মেহেরুল ইসলামের ছেলে। স্থানীয় কেরানীরহাট আল ইখলাস দারুস সুন্নাত দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে চার বন্ধু মারুফ, রনি, মোরসালিন ও আবু সিদ্দিকের সঙ্গে ঘুরতে বের হন লিখন মিয়া। তারা একসঙ্গে পার্শ্ববর্তী সিংগিমারী ব্রিজ এলাকায় যান। সেখানে বন্ধুরা মিলে রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে ট্রেনের সঙ্গে সেলফি তুলতে প্রস্তুতি নেয়। এ সময় রেললাইনের খুব কাছাকাছি থাকা লিখন মিয়া ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। এর কিছুক্ষণ পরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ দুর্ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, ওইদিন বিকেলে ৪৬২ ডাউন বুড়িমারী লোকাল ট্রেনটি সিংগিমারী ব্রিজ পার হওয়ার সময় চার-পাঁচজন ছোট ছেলে টিকটক ভিডিও করার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। রেললাইন থেকে নিরাপদ দূরত্বে না দাঁড়ানোর কারণে এমনটি হয়েছে। এটি অসচেতনতার কারণে ঘটলেও অলৌকিকভাবে ছেলেটি বেঁচে গেছে।
লিখনের বাবা মেহেরুল ইসলাম বলেন, আল্লাহর কাছে অনেক অনেক শুকরিয়া। এত বড় দুর্ঘটনার পর আল্লাহ্ আমার ছেলেকে নতুন করে জীবন দিয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। আমার ছেলে এখন সুস্থ আছে। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
লিখনের আহত হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তার মা লিলি বেগম বলেন, আমরা তো ঘটনাস্থলে যাইনি। কি হয়েছে সেটাও আমরা জানি না। দুর্ঘটনাস্থল থেকে কাছাকাছি হওয়ায় প্রথমে প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রেফার্ড করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দিয়েছে। এখানে ট্রিটমেন্ট চলতেছে। ওর (লিখনের) মাথায় ১৩-১৪টা সেলাই পড়েছে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মৃত্যুর খবরটি গুজব উল্লেখ করে লিখনের বড় ভাই মিথুন বলেন, ফেসবুকে আমার ভাইয়ের মৃত্যুর খবর দেখে অবাক হয়েছি। এরকম ভুয়া তথ্য ছড়ানো ঠিক নয়। একটা আহত চিকিৎসাধীন মানুষকে নিয়ে এভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো উচিত নয়। আমার ছোট ভাই এখন ভালো আছে। সকল মা-বাবার প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখুন, কোথায় যাচ্ছে, কি করছে এসবের খোঁজ রাখুন। কার,ণ একটা দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না।
দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন লিখনের বন্ধু মোরসালিন। তিনি বলেন, আমরা সবাই ট্রেন থেকে একটু দূরেই ছিলাম। আমি যখন ভিডিও করি লিখন বুঝতে পারেনি ওর খুব কাছাকাছি ট্রেন চলে এসেছে। আমাদের অসতর্কতার কারণে এমনটি হয়েছে। বর্তমানে লিখনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে এ শিক্ষার্থী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার সময়ের ভিডিও ছড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোরসালিন বলেন, আমরা মোবাইল ফোনে ছবি তুলতে গিয়েছিলাম। বেশ কিছু ছবিও তুলেছি। ট্রেনের সঙ্গে নিজেদের সেলফি তোলার জন্য যখন দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন ভুলে চাপ পড়ে ভিডিও রেকর্ড হয়। এ সময় আকস্মিকভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আমার এলাকার ভাইয়েরা ফোন থেকে ভিডিওটা নিয়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সাব্বির জানান, ট্রেনের ধাক্কায় আহত সেই ছেলে বেঁচে আছে। তার অবস্থা উন্নতির দিকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মর্মান্তিক সেই ভিডিও অনেকের মনেই দাগ কেটেছিল। আহত লিখন নিউরোসার্জারি বিভাগে ভর্তি রয়েছে।
আরটিভি/এফআই
গণঅধিকারের রাশেদকে রাজনৈতিক সহযোগিতা দিতে বিএনপির চিঠি
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদ খানকে রাজনৈতিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। কেন্দ্রীয় বিএনপির এমন নির্দেশনার পর জেলাজুড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
জানা গেছে, ২৪ অক্টোবর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর একটি চিঠি প্রেরণ করেন। যেখানে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খানকে তার নিজ সংসদীয় এলাকা ঝিনাইদহ-২ আসনে (হরিনাকুন্ড ও সদরের একাংশ) তাকে রাজনৈতিক সহযোগিতা দেওয়ার কথা বলা হয়। কেন্দ্র থেকে এমন ঘোষণা আসার পরই জেলাজুড়ে শুরু হয় আলোচনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির কয়েকজন জেলা পর্যায়ের নেতা জানিয়েছেন, এমন ঘটনা রাজনীতিতে বিরল। এতে দলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল বাড়তে পারে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ বলেন, চিঠি পেয়েছি। এ ব্যাপারে পরে কথা বলব।
আরটিভি/এমকে-টি
ফেসবুক পরিচয়ে বিয়ে, অতঃপর...
ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়, বন্ধুত্ব থেকে প্রেম এবং বিয়ে। বিয়ের আগে কথা ছিল একটা ব্যবসা শুরু ও বছরখানেক পরে ব্যবসার ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেবেন। এ কথা বলে তরুণীর প্রবাসী বাবার কাছ থেকে নেন ৫০ লাখ টাকা। আর এই ৫০ লাখ টাকা নেওয়ার পর থেকে উধাও তিনি। পরে জোরপূর্বক ডিভোর্সও দেন।
এমন ঘটনা ঘটেছে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খরনা নাদুরপুকুর এলাকার বাসিন্দা রিমুর সঙ্গে। আর এ ঘটনায় অভিযুক্ত তার স্বামী অ্যাপোলো ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন নামে একটি কোম্পানির মালিক মাহবুব সাঈদী।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে রিমু জানান, ২০২১ সালে কোম্পানি খুলে আমাকে ২০ শতাংশ শেয়ার মালিক করার কথা বলে আমার সিঙ্গাপুর প্রবাসী বাবার কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা নেন। এ সংক্রান্ত চুক্তিপত্রও সম্পাদন হয় আমাদের মধ্যে। পরের বছর বিয়েও করে সে। কোম্পানি কিছুদিন পরিচালনার পর আমি তার বিভিন্ন অর্থনৈতিক জালিয়াতি ধরে ফেলি এবং এ নিয়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।
তিনি বলেন, একপর্যায়ে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হলে মাহবুব সাঈদী ২০২২ সালের এপ্রিলে জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আমি এবং আমার মাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে জোর করে আমাকে ডিভোর্সও দেয়।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসার জন্য দেওয়া টাকা কিংবা লভ্যাংশ ফেরত দেয়নি। অপহরণ এবং দেনমোহর না দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলেও গত দুই বছর সে এবং তার সন্ত্রাসীদের হুমকি-ধমকির কারণে তিনি ন্যায়বিচার পাননি।
আরটিভি/এএএ/এসএ
জাতীয় পতাকার ওপর ইসকনের পতাকা উত্তোলন, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
চট্টগ্রামে জাতীয় পতাকার ওপর গেরুয়া পতাকা উত্তোলন কাণ্ডে ইসকন নেতাসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও এলাকার উত্তর মোহরার মো. ফিরোজ খান (৪৯) কোতোয়ালি থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- ইসকন চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন কুমার ধর প্রকাশ, চিম্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী, অজয় দত্ত (৩৪), লীলা রাজ দাস ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাশ টিপু (৩৮), ডা. কথক দাশ (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাশ (৩৮), রাজীব দাশ (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী (৪০), নিউটন দে ববি (৩৮), তুষার চক্রবর্তী রাজীব (২৮), মিথুন দে (৩৫), রুপন ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাশ (২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮) ও হৃদয় দাস (২৫)।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ নগরের লালদিঘী মাঠে মহাসমাবেশ আয়োজন করে। সেদিন ইসকন চট্টগ্রাম বিভাগের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর নির্দেশে নিউমার্কেট মোড়ে স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকার ওপর গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করে জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করা হয়েছে। এরপর গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংঘঠিত হওয়ার পর নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্টে স্তম্ভের ওপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে যা অদ্যবধি সেখানে রয়েছে। ওই মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার লোকের সমাবেশ ঘটে।
বাদির অভিযোগ, আসামিরা নিউমার্কেট মোড় জিরোপয়েন্ট স্তম্ভ ও আশপাশে সু-পরিকল্পিতভাবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে অবজ্ঞা প্রদর্শনের হীন উদ্দেশ্যে, দেশের অখণ্ডতাকে অস্বীকার করার মানসে এবং দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্বের প্রতীক স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রতি অসম্মান প্রদর্শন পূর্বক অবমাননা করে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর সাম্প্রদায়িক ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে সেখানে স্থাপন করে দেয়।
এজাহারে বাদী আরও অভিযোগ করেন, এ ঘটনা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অখণ্ডতাকে অস্বীকারের শামিল। আসামিরা তাদের সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে পরস্পর অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর তাদের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে দেশের ভেতর অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর করার তথা রাষ্ট্রদ্রোহ কাজে লিপ্ত হয়েছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে শ্রেণি বিদ্বেষের জন্ম হয়েছে এবং ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করে নাগরিকদের মধ্যে শ্রেণি বিদ্বেষ ছড়িয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা ও রাষ্ট্রদোহীতার অপরাধ করেছেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ এ বিষয়ে বলেন, ‘নগরীর নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্ট স্তম্ভে জাতীয় পতাকার ওপর ইসকনের পতাকা উত্তোলনের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে রাজেশ ও হৃদয় নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
আরটিভি/এসএপি/এসএ
আবু সাঈদের ফরেনসিক প্রতিবেদন জোর করে ৬ বার পরিবর্তন করা হয়: চিকিৎসক
রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. রাজিবুল ইসলাম বলেছেন, আবু সাঈদের বুক গুলিতে ঝাঁজরা ছিল। সরকারের মনমতো প্রতিবেদন দিতে ঢাকা থেকেও তাকে হুমকি দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রংপুর মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ ডা. মাহফুজুর রহমানের অপসারণ ইস্যুতে চলমান বিক্ষোভের সময় ফরেনসিক প্রতিবেদন টেম্পারিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের ফরেনসিক প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী চিকিৎসক ডা. রাজিবুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাকে ঢাকা থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়, তুমি সরকারি চাকরি করে কীভাবে সরকারের বিপক্ষে এই রিপোর্ট দিতে পারো। চূড়ান্ত প্রতিবেদন যখন দিতে যাই, তার আগে ছয়বার প্রতিবেদন পরিবর্তন করানো হয়েছিল। সে সময় রংপুর মেডিকেলের ভাইস প্রিন্সিপাল মাহফুজার রহমান চার্জে ছিলেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতারা ছিলেন। পুলিশ প্রশাসনের লোকও ছিলেন। তাদের সামনেই আমাকে বাধ্য হয়ে প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করতে হয়েছিল।
ডা. রাজিবুল ইসলাম বলেন, ওনারা (ডা. মাহফুজসহ উপস্থিত অন্যরা) চেয়েছিলেন আমি যেন হেড ইনজুরি দিয়ে ইউরেজোনিক শক দেখিয়ে দেই। কিন্তু আমি তাদের চাপের কাছে মাথানত করিনি। আমার রিপোর্টে উল্লেখ ছিল, দ্য ডেড ওয়াজ ডিউ টু অ্যাভোব মেনশন ইনজুরিস হুইচ ওয়াজ এন্টিমন্টেম অ্যান্ড হোমিসাইডাল।
তিনি বলেন, সবাই ভাবছে হেড ইনজুরির (মাথার আঘাত) কারণে আবু সাঈদ মারা গেছে। হেড ইনজুরি হলে সাধারণত ব্রেনে রক্তক্ষরণ থাকে। স্ক্যামবোল ফ্রাকচার থাকে। সাঈদের ক্ষেত্রে এগুলো কোনটাই ছিল না। আমি প্রচণ্ড চাপে ছিলাম। আমাকে নানাভাবে ভয় দেখানো হয়েছে।
আরটিভি/এমএ
সুপারি রাখার গর্তে নেমে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে একটি গর্ত থেকে সুপারি তুলতে গিয়ে ২ ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের ধারণা, গর্তে নেমে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে তাদের। একই ঘটনা আরও ৪ জন অসুস্থ হয়েছেন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী গুন্নুমিয়া সওদাগরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন।
নিহত ২ ভাই হলেন- শফি সওদাগর ও শহিদুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানান, শফি সওদাগর সুপারির ব্যবসা করতেন। আর শহিদুল আরব আমিরাত প্রবাসী। আগামী সপ্তাহে প্রবাসে চলে যাওয়ার কথা ছিল। সুপারি তুলতে গর্তে নেমে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।
ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমাদের টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে একজন মহিলা ও ৫ জন পুরুষকে উদ্ধার করে দ্রুত মেডিকেলে প্রেরণ করেছে। ৭ থেকে ৮ ফুট গভীর একটি গর্তে সুপারি রাখা হয়েছিল। সে সুপারি তুলতে গিয়েই মূলত এ ঘটনা ঘটেছে। গর্তটিতে সুপারির গন্ধে অতিরিক্ত মিথেন গ্যাস তৈরি হয়। ফলে অক্সিজেনের অভাবে কেউ কেউ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে আর কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে।’
আরটিভি/এমকে/এআর
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে দুই তরুণীর অনশন
ঝিনাইদহের হলিধানী ইউনিয়নে শাহীন নামে এক যুবকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একসঙ্গে দুই তরুণী অনশন করেছেন।
শনিবার (২ নভেম্বর) রাত ৭টায় সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাগান্না গ্রামের ইকরামুলের ছেলে শাহীনের বাড়িতে ওই দুই তরুণী অনশন করেন।
জানা যায়, শনিবার বিকেল থেকে রুনা নামে এক কলেজ পড়ুয়া মেয়ে বিয়ের দাবিতে শাহীনের বাড়িতে অবস্থান নেন। রুনার দাবি শাহীন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ দুই বছর ধরে তার সঙ্গে প্রেম করে আসছেন। তাদের দুই পরিবার এই বিয়েতে রাজি ছিল। কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলায় আসামি হওয়ায় পরে তার পরিবার এই বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর রুনাকে পরিবার থেকে তার অমতে বিয়ে দিতে গেলে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে শাহীনের বাড়িতে ওঠেন।
অন্যদিকে গত দুই মাস হলো সাদিয়া নামে আরেক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন শাহীন। প্রেমিকের বিয়ের কথা শোনার পর সাদিয়াও বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে আসেন। এমন ঘটনায় শাহীন ও তার পরিবারের ওপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর দাবি শাহীন দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত। এর আগেও এক সনাতন ধর্মাবলম্বী মেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণসহ একাধিক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন তিনি। তারা এর একটা সমাধান চান।
বিয়ের দাবিতে অনশন করা রুনা বলেন, শাহিনের সঙ্গে আমার দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক। আমাদের বিয়েতে দুই পরিবারই রাজি ছিল। কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলায় আসামি হওয়ায় আমার পরিবার আর মেনে নেয়নি। শুক্রবার আমার বিয়ের জন্য পরিবার থেকে চাপ দেয়। আমি শাহিনকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবো না। এ কারণে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তাই আমি শাহিনের বাড়িতে এসেছি। আমি ওকেই বিয়ে করবো। শহিন যদি ওই মেয়েকে বিয়ে করে, তাও আমার কোনো সমস্যা নেই।
সাদিয়া খাতুন বলেন, শাহিনের সঙ্গে দুই মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক। এর আগে শাহিন আমাকে বিয়ের জন্য তার বাড়িতে আসতে বলে। আমি বাড়ি থেকে তার বাড়িতে আসি। তখন শাহিনের বাড়ির লোকজন ঝামেলা করায় সেদিন বিয়ে হয়নি। আজ আবার শাহিনের বাড়িতে আরেক মেয়ে বিয়ের দাবিতে এসেছে। আমি তো ওকে ভালোবাসি। শাহিন আমাকে বিয়ে করবে বলে কথা দিয়েছে। আমাকে রেখে এখন আবার অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে চায়। তাই আমি আমার অধিকার আদায়ের জন্য শাহিনের বাড়িতে এসেছি।
এ বিষয়ে শাহিন জানান, তাকে বিয়ে করতে যে দুই মেয়ে আসছে, তাদের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল, এখন নেই। তবে তারা যেহেতু তাকে বিয়ে করতে বাড়িতে চলে আসছে, তাদের দুই জনকে বিয়ে করতে কোন আপত্তি নেই। সে দুইজনকেই বিবাহ করতে রাজি।
হলিধানী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সন্তোষ কুমার গণমাধ্যমকে বলেন, গাগান্না গ্রামের শাহিনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একই সঙ্গে দুই মেয়ে এসেছে এটা খুবই দুঃখজনক।
আরটিভি/এএএ