• ঢাকা শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১
logo

২০০ বছরের পুরনো মাটির বাড়িটি এখন ডুপ্লেক্স

নওগাঁ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:২৯
২০০ বছরের পুরনো মাটির বাড়ি এখন ডুপ্লেক্স
ছবি : আরটিভি

১৮২৩ সাল নাগাদ জমিদার সারদা প্রসাদ রায়ের বাবা পাল বংশের কাছে থেকে একটি মাটির দোতলা বাড়ি খরিদ করেন। জমিদারি চালানো হতো এই বাড়ি থেকে। জমিদারি আমলে সুদূর ভারত থেকে শিল্পী নিয়ে এসে এই বাড়ির উঠানে বসতো থিয়েটার, হতো যাত্রাপালা।

এখানে উচ্চবংশীয় এবং উচ্চ বর্ণের হিন্দুদের সঙ্গে পূজার সময় সংস্কৃতি যুদ্ধ হতো। নওগাঁর মান্দা উপজেলার মৈনম বাজারে রায় বাড়ির জমিদার বাড়ি এখন আধুনিক মাটির ডুপ্লেক্স বাড়ি। ব্যক্তি মালিকানায় থাকলেও দূর-দূরান্ত পর্যটক আসেন বাড়িটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

২০২১ সালে রায় বাড়ির বংশধর বুরন রায় এবং বাবন রায় জমিজমা বিক্রি করে নাটোরে চলে যান। বর্তমানে ক্রয়সূত্রে বাড়িটির মালিক আসকার ইবনে সুলতান শান্ত। বাড়িটি সংস্কারে আধুনিকায়নে শান্ত স্থানীয় আদাবাসি সম্প্রদায়ের কারিগরদের শৈল্পিক কারিগরিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এমন সৌন্দর্য যেন সকলে উপভোগ করতে পারে তার জন্য পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

রাইজিং হেরিটেজ প্যালেস যার স্থাপনাকাল ১৮২৩ সালে। এখানে এখনও সেই সময়ের মাটির চিহ্নগুলো রয়ে গেছে। বাড়ির দেয়ালগুলোতে মাটির স্তর দিয়ে নানান শিল্পকর্ম ফুটে তোলা হয়েছে।

আসকার ইবনে সুলতান শান্ত জানান, নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার আদিবাসি পল্লী থেকে ৮০ থেকে ৮৫ বছরের বৃদ্ধ দ্বিজেন বর্মন তার ২০ জনের একটি টিম নিয়ে ৪ মাস শিল্পকর্মের কাজ করেছেন। পরবর্তীতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় কারিগর দিয়ে প্রায় ২ বছরে সময়ের ব্যবধানে এমন রূপ দিতে পেরেছেন।

তিনি আরও জানান, বাড়িটিতে অভ্যন্তরীণ দুটি মাটির সিঁড়ি রয়েছে, যা প্রায় ২০০ বছরের পুরনো। আর সংস্কারের পর বাহির থেকে সকলের চলাচলে সুবিধার্থে সিঁড়ি করা হয়েছে। প্রতিদিন মানুষ আসে মাটির এই ডুপ্লেক্স বাড়িটি দেখতে। তবে ছুটির দিনে ভিড় বাড়ে। সবাই এসে ছবি তুলে, ভিডিও তৈরি করে। সকলের জন্য উন্মুক্ত করা থাকে সব সময়।

প্রতিবেশী এবং দূর থেকে আসা পর্যটকরা পুরাতন মাটির বাড়িকে এমন ডুপ্লেক্স বাড়িতে রূপ দেওয়ার শৈল্পিক নিদর্শন দেখতে ছুটে আসেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তায় তারা বাড়িটি সম্পর্কে জেনে আসেন। সেলফি তোলেন আর অনেকে ভিডিও বানান।

পানির ফুয়ারা বসবার সুব্যবস্থা থাকা সকলই যেনো সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ সুবিধা রয়েছে এখানে। শুধু পর্যটক না এখানে কারো বিয়ে ব্রাইডল স্যুট করে থাকেন অনেকে। স্মৃতি হিসেবে রেখে দেওয়ার সকল সৌন্দর্য উপভোগ করে বাড়িটি দেখতে আসা পর্যটকরা।

পরিবেশ বিপর্যয়ের এমন সময়ে ইট পাথরের দালান না করে মাটির বাড়িকে ডুপ্লেক্স বাড়িতে রূপান্তর করা হয়। যা পরিবেশকে রক্ষার সামিল মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

আরটিভি/এমকে

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর গাড়িচালকের ২ কোটি টাকার ডুপ্লেক্স বাড়ি!