বাবাকে হত্যা করে সেফটিক ট্যাংকে ফেলে দিলো ছেলে
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে বাবা শামছুল মিয়াকে হত্যা করে সেফটিক ট্যাংকে ফেলে দিয়েছে ছেলে সাত্তার।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের মঙ্গলহোড় গ্রামের নিজবাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শামসুল মিয়া পেশায় একজন দলিল লেখক ছিলেন। গত শুক্রবার রাত থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। একই দিন একমাত্র ছেলে সাত্তার মিয়াও বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা সাত্তারকে আটক করার পর তার দেওয়া স্বীকারোক্তি মতে তার বাবার লাশের সন্ধান মেলে।
অভিযুক্ত ছেলে সাত্তার মিয়া বলেন, তার বাবা তাকে পরিবার থেকে আলাদা করে দেন। টাকা পয়সাও দেন না, ঠিকমতো সংসার চালাতে পারেনি। শনিবার রাত ২টার সময় তার ক্ষুধা লাগলে বাবার ঘরে যায়। এ সময় তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। পরে হাত দিয়ে গলা চেপে ধরে। অনেক ধস্তাধস্তির পর একটি ওড়না দিয়ে গলা বেঁধে ফেলে। মারা যান শামছুল আলম। মৃত্যু নিশ্চিত হলে সেফটিক ট্যাংকের মধ্যে লাশ রেখে তিনি পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেব খান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সাত্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তিনি তার বাবাকে গলা টিপে হত্যার পর মরদেহ সেফটিক ট্যাংকের মধ্যে রেখে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
আরটিভি/এএএ-টি
মন্তব্য করুন