সাবেক প্রতিমন্ত্রী রিমিসহ ৩৯ জনের নামে হত্যা মামলা
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, গাজীপুর জেলা কারাগারের সুপার এবং কাপাসিয়া থানার সাবেক দুই ওসি, এক তদন্ত অফিসার ও এক পুলিশ উপপরিদর্শকসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে গাজীপুর আদালতে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কাপাসিয়া উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের রাওনাট এলাকার ডয়পাকুরি গ্রামের সোহেল রানা বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় বাদী সোহেল রানা নিহত সফিউদ্দীন মাস্টারের ছেলে। বিনা কারণে তার বাবাকে জেলা হাজতে নিয়ে হত্যার অভিযোগ তুলে এই মামলা করা হয়।
মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, কাপাসিয়া থানার সদ্য সাবেক ওসি মো. আবুবকর মিয়া, সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কাশেম, সাবেক ওসি এএফএম নাসিম, সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুল হক সুমন, গাজীপুর জেলা কারাগারের সুপার আনোয়ারুল করিম, কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রধান, কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমানত হোসেন খান, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রেজাউল রহমান লস্কর মিঠু, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নেতা মাহবুব উদ্দিন আহমেদ সেলিম, প্রচার সম্পাদক ইমানুল্লাহ শেখ ইমু, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন প্রধান, সাধারণ সম্পাদক রাজীব ঘোষ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুল হাসান মামুন, সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গাফফারসহ ৩৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৬ অক্টোবর রাওনাট এলাকার ডয়পাকুরি গ্রামের সফিউদ্দীন মাস্টারকে বিনা পরোয়ানায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় কাপাসিয়া থানা পুলিশ। থানার সামনে সফিউদ্দীন মাস্টারকে নিয়ে গিয়ে আসামিরা হাতকড়া পরা অবস্থায় এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরবর্তীতে কোনো চিকিৎসা না করেই থানা হেফাজতে রাখা হয়। পরদিন ২৭ অক্টোবর কাপাসিয়া থানার একটি মামলায় অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে জেলের মধ্যেও তাকে মারধর করা হয়েছে। এরপর গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর কারাগারে সফিউদ্দীন মাস্টারের মৃত্যু হয়।
এই মামলার বাদী পক্ষের অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান বলেন, গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করা হয়। আগামী এক মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, আদালত থেকে এই ধরনের কোনো চিঠি বা তদন্ত কোনো আদেশ পাইনি। আদালতের আদেশ পেলে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।েআরটিভি/এফএ
মন্তব্য করুন