রাজবাড়ীতে ১০ দিনে ৫ হত্যা, গ্রেপ্তার ৪
রাজবাড়ীর বিভিন্ন স্থানে গত ১০ দিনে পাঁচটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে রাজবাড়ী সদরে দুটি, পাংশা, কালুখালী ও গোয়ালন্দ উপজেলায় একটি করে। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোছা. শামীমা পারভিন।
পুলিশ সুপার জানান, প্রতিটি হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। চুরি, আধিপত্য বিস্তার, পারিবারিক কলহের কারণে ১৫ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর পাংশা থানার বিলমন্ডব এলাকায় রতন খা তার স্ত্রী চামেলীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
২১ সেপ্টেম্বর কালুখালী থানার মাধবপুর এলাকায় ট্রান্সফরমারের তার চুরি করতে গিয়ে জনগণের পিটুনি খেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নাজমুল মোল্লা নামের একজন পেশাদার চোর।
২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর গোয়ালন্দ ঘাট থানার কাটাখালী এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত সুশীল সরকার নামের সাবেক এক চরমপন্থী নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
২২ সেপ্টেম্বর রাতে রাজবাড়ী সদর থানার রামকান্তপুরের মাটিপাড়ায় রশিদ তার স্ত্রী বন্যাকে গলা টিপে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজবাড়ী সদর থানার থানার বরাট ইউনিয়নের পূর্ব ভবদিয়ায় মিনহাজ শেখ (১২) নামের এক নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার দুদিন আগে নিখোঁজ হয় শিশুটি। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) শিশুটির বাবা আজাদ শেখ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
শিশু মিনহাজ শেখ পার্শ্ববর্তী এলাকার মুক্তার সর্দারের বাগানে মাল্টা খাওয়ার লোভে বাগানে প্রবেশ করতে গিয়ে কাঁটাতারের বেড়ায় বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যায়। পরবর্তী সময়ে মরদেহটি মুক্তার সর্দার ও তার সহযোগীরা পাশের ধানখেতের মাঝখানে ফেলে দেন। এ ঘটনায় বাগানের মালিক ও দারোয়ানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিমসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরটিভি/এমএ/এসএ
মন্তব্য করুন