দলিল লেখকদের বসতে দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে
দিনাজপুরের বিরামপুরে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের নির্ধারিত ভেন্ডার রুমে দলিল লেখকদের বসিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উক্ত অফিসের সাব-রেজিস্ট্রার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। প্রতি মহুরির নিকট থেকে দলিল প্রতি ১৬০ টাকা দরে টাকা তোলেন সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃপক্ষ। এতে করে বাড়তি টাকা দিতে হয় জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে আসা গ্রাহকদের। তবে সাব-রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা বলছেন যে টাকা নেওয়া হয় সেই টাকা পরিষ্কার পরিছন্নতা কর্মীর জন্য দিয়ে থাকেন দলিল লেখকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের নিচ তলায় ভেন্ডার রুমে বেশ কয়েক জন দলিল লেখক বসে কাজ করছেন। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক দলিল লেখক বলেন, আমাদের বসার কোনো স্থান না থাকার কারণে আমরা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে বসে কাজ করি। এর বিনিময়ে আমরা দলিল প্রতি ১৬০ টাকা করে দিয়ে থাকি। প্রতিদিন আমাদের বিরামপুরের সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে ৮০ থেকে ৯০টি দলিল হয়ে থাকে। এতে করে দলিল যে দিন হয় সেই দিন ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা উত্তোলন হয়ে থাকে।
বিরামপুর সাব-রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা হিমেল বাহার শুভ বলেন, দলিল লেখক বিধিমালা ২০১৪ এর ধারা ৭ অনুযায়ী দলিল লেখকগণকে কার্যালয়ের সীমানার মধ্যে বসতে এবং নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণ ও তত্বাবধানে সনদের প্রদত্ত ক্ষমতা বলে কার্য পরিচালনার জন্য কার্যালয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। তার মানে হচ্ছে দলিল লেখকরা অত্র কার্যালয়ে বসতে পারবেন এবং প্রবেশ করতে পারবেন। এই বিষয়ে আমাদের একটি আইনগত কর্তব্য আছে। এছাড়াও স্থানীয় দলিল লেখকদের নির্ধারিত কোন সেড নেই, সেই জন্য আমরা সাময়িকভাবে তাদের ভেন্ডার রুমে বসতে দিয়েছি। দলিল লেখকদের পক্ষ থেকে কোন অর্থ লেনদেন করা হয় না। তবে আমি যেটি শুনেছি যেহেতু তারা রুমটি ব্যবহার করেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য একজন লোক কাজ করে তার মজুরী বাবদ কিছু টাকা দিতে পারে। তবে আমরা কোন টাকা তুলি না। আমি দলিল লেখকদের সাথে কথা বলে দ্রুত বাহিরে যেন একটি বসার ব্যবস্থা করে নেন সেই বিষয়টি আমি তাদের বলে দিবো।
এ বিষয়ে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত তাসনীম আওন বলেন, যেহেতু সাবরেজিস্ট্রার অন্য দপ্তর। আমি মাসিক মিটিংএ সাব-রেজিস্ট্রার কর্মকর্তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো।
আরটিভি/এএএ
মন্তব্য করুন