• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

‘উন্নয়নের নামে দুর্নীতির মহোৎসবে মেতে ছিল আওয়ামী লীগ’

রাজবাড়ী প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২:০১
‘উন্নয়নের নামে দুর্নীতির মহোৎসবে মেতে ছিল আওয়ামী লীগ’
ছবি : আরটিভি

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ বলেছেন, উন্নয়নের নামে দুর্নীতির মহোৎসবে মেতে ছিল আওয়ামী লীগ। তারা বাংলাদেশ দেউলিয়ার পর্যায়ে নিয়ে গেছে। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল দমন করা আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূলনীতি।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজবাড়ী পৌর কমিউনিটি সেন্টারে রাজবাড়ী সদর ও পৌর শাখা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ছিল, ক্ষমতায় গেলে কুরআন ও সুন্নাহ’র বিরুদ্ধে কোনো আইন তারা করবে না। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলের সাড়ে ৩ বছরে দেশে সকল ইসলামী রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করেছে। ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি চলবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। ইসলাম ছাড়া কোনো জাতি প্রকৃত শান্তি পেতে পারে না এবং পায় না। শেখ হাসিনা তার পিতার পথেই হেঁটেছে। যার ফলে শেখ হাসিনাও জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করেছে এবং সবশেষ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু তাতেও তার শেষ রক্ষা হয়নি। সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকেও কর্মীদের কাছে না বলে পালিয়ে যেতে হয়েছে তাকে।

তিনি বলেন, ফেরাউনের প্রেতাত্মা শেখ হাসিনা দাম্ভিকতার সঙ্গে বলেছে, তার পরে দেশ চালাবে কে? তিনি শুধু নিজেকেই যোগ্য মনে করতেন। আর কেউ যোগ্য নয়, কারও কোনো যোগ্যতা নাই বলে তিনি নিয়মিত উপহাস করতেন। কিন্তু ফেরাউনের প্রেতাত্মা শেখ হাসিনার সেই দাম্ভিকতার জবাব বাংলাদেশের মানুষ ৫ আগস্টের জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দিয়ে দিয়েছে।

এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও জনস্বার্থে রাজনীতি করেনি। পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসাই ছিল তাদের রাজনৈতিক অপকৌশল। ২০০৮ সালে একটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে শেখ হাসিনা গণভবন দখল করে রাখার জন্য, প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার ধরে রাখার জন্য ভারত যা চেয়েছে তাই দিয়েছে। শেখ হাসিনা স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছে, তিনি ভারতকে যা দিয়েছেন ভারত তা কখনও ভুলতে পারবে না। কারণ তিনি ভারতের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি দিয়েছেন। সেই অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ খুনি শেখ হাসিনাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠা করা ব্যাংক, বীমা আওয়ামী লীগ লুটপাট করে নিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ আর অল্প কিছু দিন ক্ষমতায় থাকতে পারলে স্বাধীন বাংলাদেশকে দেউলিয়া ঘোষণা করিয়ে ছাড়তো। আর এই সুযোগে ভারত বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশকে ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য করতো। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের সেই অপচেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছে।

৫ আগস্টের বিপ্লবে আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা পাকিস্তান থেকে প্রথম স্বাধীনতা অর্জন করি। এ স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে।

এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে তাড়িয়ে আবার নতুন চাঁদাবাজ ক্ষমতায় আসুক এটা জনগণ চায় না।

এ দেশের জনগণ চাঁদাবাজের হাত বদল হতে দেবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী এমন এক কর্মী বাহিনী গঠন করেছে, সেই কর্মী বাহিনী জনগণের জানমালকে আমানত হিসেবে বিশ্বাস করে, আল্লাহকে ভয় করে। জনগণ চাইলে জামায়াতে ইসলামীর সেই কর্মী বাহিনী আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে।

রাজবাড়ী সদর থানা আমীর মওলানা সাঈদ আহমদের সভাপতিত্বে ও পৌর আমির ডা. হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ফরিদপুর অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যাপক আব্দুত তওয়াব, ফরিদপুর জেলা আমির মো. বদর উদ্দিন ও রাজবাড়ী জেলা আমির অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ও শিবিরের জেলা সেক্রেটারী রবিউল ইসলাম।

আরটিভি/ এমকে

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আমু-কামরুলকে বুধবারের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২৫০ বিলিয়ন ডলার পাচার!
১৫ বছর নিজেদের সুবিধার প্রকল্পগুলোতে বাংলাদেশকে ঋণ দিয়েছে ভারত
রাজশাহীতে আ.লীগ নেতাকে পুলিশে দিলো জনতা