পাইকগাছার শিববাটী শিবসা ব্রিজের টোল আদায় নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ
খুলনার পাইকগাছায় শিববাটী ব্রিজের টোল আদায় কেন্দ্র করে দু-পক্ষের মধ্যে চরম বিরোধ দেখা দিয়েছে।
উপজেলার শিববাটী নদীর উপর শিবসা ব্রিজ স্থাপিত হওয়ার পর ২০১০ সাল থেকে সরকার ইজারা দিয়ে আসছে। ২০২২-২০২৫ এ তিন বছরের জন্য কোটেশনে ইজারার প্রাপ্ত হন খুলনার আলী আকবরের ‘মেসার্স আলী আকবর ইন্টারপ্রাইজ’ নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সরকারের সাথে চুক্তিপত্র সম্পাদনের ১৪ নং শর্তে উল্লেখ করেন যে তৃতীয় কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সাব লিজ দেয়া যাবে না। যদি দেয় তাহলে মুল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ইজারা চুক্তিপত্র বাতিল হবে। কিন্তু ঠিকাদার শর্ত বঙ্গ করে এটা স্থানীয় মিনারুল ইসলামকে ২০২২ সালের ২২ এপ্রিল সাব লিজ দেন। এই নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক।
এ বিষয়ে সাব লিজ গ্রহীতা মিনারুল ইসলাম বলেন, আমি ঠিকাদারের কাছ থেকে লিজ নিয়ে টোল আদায় করছি।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ আব্দুল কাদির বলেন, সরকারী রাজস্ব আদায়ে টেন্ডার দেয়া হয়। আগামী জুন মাসে মেয়াদ শেষ হবে। এক মাসের মধ্যে আবার টেন্ডার আহ্বান করা হবে। কোন প্রকার সাব লিজ দেয়ার সুযোগ নেই।যদি সাব লিজ দেওয়া হয় তাহলে তা বাতিল করা হবে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, যান্ত্রিক বাহন থেকে সরকার নির্ধারিত টোলের অতিরিক্ত টোল আদায় করা হয়। সর্বসাধারণের সাথে খারাপ আচরণ করা হয়। এ কারণে ব্রিজটি টোলমুক্ত করতে বিভিন্ন সময় বিগত সরকারের এমপি মন্ত্রীদের কাছে দাবী করা হয়েছে। তাতে কোন কাজ হয়নি। এদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর শিববাটী ব্রিজ টোলমুক্ত করার আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা । এর মধ্যে তিনবার টোল আদায় বন্ধ করে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
শনিবার টোল আদায় বন্ধ করাকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন, স্থানীয় সেনা ক্যাম্প ইনচার্জ ক্যাপ্টেন ইসবাত, থানা অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুর রহমান। বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনকারীদের সাথে তারা বৈঠকে বসেন। তাদের অভিযোগ শোনেন এবং সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দেন।
মন্তব্য করুন