পিটিয়ে হত্যা করা সেই শিক্ষকের মরদেহ হস্তান্তর
খাগড়াছড়িতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করা শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানার মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) মধ্যরাতে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পরিবারের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তৌফিকুল আলম।
তিনি বলেন, নিহত রানার স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যরা খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল থেকে রাতে মরদেহটি গ্রহণ করেছেন। তারা মরদেহ নিয়ে রাতেই তাদের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। জেলার রামগড় সীমানা পর্যন্ত নিরাপত্তা দিয়ে তাদের পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
হত্যার ঘটনায় খাগড়াছড়ি সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়িতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ওই স্কুলশিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি জেলা শহরের টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ছিলেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের রুমে নিয়ে ওই শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি শহরে পাহাড়ি বাঙালি সম্প্রদায়ের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শহরের পানখাইয়া পাড়া সড়ক, মহাজন পাড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। পরে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এরপর বুধবার তা প্রত্যাহার করা হয়।
এদিকে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশের কাজে বাধা এবং ধর্ষণের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরটিভি/এফএ-টি
মন্তব্য করুন