নিখোঁজের ৩ মাস পর গৃহবধূ হত্যার রহস্য উদঘাটন
গাজীপুরের কালীগঞ্জে ভাগিনার স্ত্রী গৃহবধূ শায়লাকে (২৩) চাকরি দেওয়ার কথা বলে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় খালু মজিদ মিয়াকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানায় সংবাদ সম্মেলনে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে আসামি গাজীপুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মজিদ মিয়া পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আছিম উদ্দিন শেখের ছেলে। তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বোর্ডমিল এলাকায় বসবাস করতেন। বুধবার (২ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটায় রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ভিকটিম ফাতেমা খাতুন শায়লা পাবনার ফরিদপুর থানার আগপুঙ্গুলী গ্রামের এবাদ আলীর মেয়ে এবং একই গ্রামের রুবেল খন্দকারের স্ত্রী।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন বলেন, চলতি বছরের ২ জুলাই গৃহবধূ ফাতেমা খাতুন শায়লা কালিয়াকৈর থানা এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। স্বজনরা সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ করে না পেয়ে নিখোঁজের পাঁচদিন পর ৭ জুলাই কালিয়াকৈর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির তিনদিন পর ১০ জুলাই কালীগঞ্জ উপজেলার মিরেরটেক এলাকার স্থানীয় পেট্রোবাংলা সংলগ্ন জঙ্গল থেকে অজ্ঞাত নারীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের পাশ থেকে নারীর পাসপোর্ট সাইজের ৪ কপি ছবি, ওড়না ও এক জোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা কালীগঞ্জ থানায় এসে আলামত দেখে গৃহবধূ ফাতেমা খাতুন শায়লার মরদেহ শনাক্ত করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৪ জুলাই নিহতের বড় ভাই শাহিদুল ইসলাম কালীগঞ্জ থানায় বোনকে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। চাঞ্চল্যকর হত্যার রহস্য উদঘাটনে অনুসন্ধান শুরু করে এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িত খালু শ্বশুর আব্দুল মজিদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতে আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলে চাকরির প্রলোভনে গৃহবধূ শায়লাকে কৌশলে জঙ্গলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনা জানিয়ে দেওয়ার ভয়ে শায়লাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর জঙ্গলে রেখে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন।
আরটিভি/এমকে/এআর
মন্তব্য করুন