নেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, ভূঞাপুর পৌরসভার অধিকাংশ বাড়িতে পানি
পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের পৌরসভার অধিকাংশ বাসাবাড়িতে প্রবেশ করেছে বৃষ্টির পানি। তলিয়ে গেছে প্রধান প্রধান সড়কসহ অধিকাংশ পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে লাগাতর বৃষ্টিপাত শুরু হলে এ ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় পৌরবাসীকে। হঠাৎ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করায় মালামাল ও আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেকেই। এদিকে পানি নিষ্কাশনের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ভোগান্তির মাত্রা চরম আকার ধারণ করেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবথেকে বেশি ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে ৪ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এসব ওয়ার্ডের বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের। আকষ্মিক পানি প্রবেশ করায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল ও বহু বাসাবাড়ির আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ঘটান্দী গ্রামের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, একে তো পৌর কর্তৃপক্ষের নিম্নমানের ড্রেনেজ ব্যবস্থা তারমধ্যে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা ছাড়াই অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে বৃষ্টি ছাড়াই সব সময় জলাবদ্ধতার জন্য ভোগান্তি পোহাতে হয়। আমার ফ্রিজ ও অনেক আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে।
ফসলআন্দী গ্রামের বাবুল মিয়া বলেন, ভূঞাপুর শহরের প্রধান জলাধারের যে খালটি ছিল যা পৌরসভার ময়লা ফেলে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া নানা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি অবৈধভাবে দখল করে পুরো খালটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এভাবে শহরের প্রতিটি খালই দখল ও ভরাট হলেও তা উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তাদের এই গাফিলতিতেই বাসার নিচতলা ডুবে গেছে। অনেক কিছু পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।
ভূঞাপুর বাজারের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, ‘শহর থেকে পানি বের কোনো স্থান নেই। তাই স্কুল ও কলেজের মাঠ ভর্তি হয়ে সেই পানি দোকানে প্রবেশ করে মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। এভাবেই মাঝে মাঝেই হয় কিন্তু দেখার কেউ নেই।’
ঘাটান্দী উত্তরপাড়ার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘৪ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আমরা পৌরসভায় সব থেকে বেশি কর দিলেও সরাবছরই রাস্তাঘাট তলিয়ে থাকে আর বৃষ্টি হলে ঘরে পানি ঢুকে। এই হলো উন্নয়ন। আমরা এর থেকে প্রতিকার চাই।’
এসব বিষয়ে ভূঞাপুর পৌরসভার প্রকৌশলীর সুকমল রায় এর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
আরটিভি/এমকে
মন্তব্য করুন