আন্দোলনে নিহত সাইমনের মাকে ঘর উপহার দিলো ইরামন ফাউন্ডেশন
সাইমনের বয়স যখন ২ বছর, তখন তার বাবা মারা যায়। পিতৃহীন সাইমন গত ৪ বছর আগে মাত্র ১০ বছর বয়সে মায়ের দুঃখ কষ্ট লাঘবে কাজের সন্ধানে যায় চট্টগ্রামে। কাজ করতে থাকে মুদি দোকানে, নিয়মিত টাকাও পাঠাতেন মাকে। গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দোকান থেকে ফেরার পথে নিহত হয় সন্দ্বীপের হতদরিদ্র মায়ের সন্তান সাইমন।
মাকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। সাইমনের বিষয়ে আরটিভিতে সংবাদ প্রচার হলে অনেকের মতো দৃষ্টিগোচর হয় ইরামন ফাউন্ডেশনের। ফাউন্ডেশনের কর্ণধার তার মায়ের পরিবারের খোঁজখবর নেন। শোনেন নিহত সাইমনের মায়ের কষ্টের কথা। মায়ের কথা শুনে ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে বুঝতে পেরেছেন এই মুহূর্তে সাইমনের মায়ের জরাজীর্ণ ঘরটি নতুন করে নির্মাণ করা দরকার।
বিষয়টি শুনে ইরামন ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঘরটি দ্রুত সম্পন্ন করা হয়। কাজটি তদারকি করেন ফাউন্ডেশন সন্দ্বীপের ভলান্টিয়ার আকবর হোসেন, এম কে মিশন ও মো. রুস্তম। এই ঘরটি নির্মাণে ইরামন ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন আমেরিকা প্রবাসী সাখাওয়াত হোসেন বিপ্লব।
এ বিষয়ে ইরামন ফাউন্ডেশন সন্দ্বীপের ভলান্টিয়ার আকবর হোসেন বলেন, সাইমনের বাড়ি আমার বাড়ি থেকে খুব বেশি দূরে নয়। তাই দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ইরামন ফাউন্ডেশনের কর্ণধার আকবর হায়দার মুন্নার কথামতো দেখতে গেলাম। সাইমনের মায়ের দুঃখ-কষ্টের কথা শুনলাম। তারপর তার জরাজীর্ণ ঘরটি দেখতে গেলাম। বাড়ির উত্তর পাশে পুকুরের এককোণে ঘরটি ত্রিপল দিয়ে ঢাকা।
অবশেষ ইরামন ফাউন্ডেশনের কর্ণধার আকবর হায়দার মুন্নাকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি ঘরটি নতুন করে নির্মাণ করার ব্যবস্থা করেন। ইরামন ফাউন্ডেশন দেশব্যাপী সবসময় অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছে।
আরটিভি/এএএ
মন্তব্য করুন