পাহাড়ের কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা ভিক্ষু সংঘের
পার্বত্য চট্টগ্রামের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কায় এবছর রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কঠিন চীবরদান উদযাপন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত ভিক্ষু সংঘ।
রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে রাঙামাটি জেলা শহরের মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের সভাপতি ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৮ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর, ১ অক্টোবর খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় শতাধিক দোকানপাট ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। হামলায় বিভিন্ন মন্দির, বুদ্ধমুর্তি ভাঙচুর ও দানবাক্স লুট করা হয়।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, এ যাবৎকালে যতগুলো সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে, তার কোনো সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হয়নি। সরকার লোক দেখানো তদন্ত কমিটি করে, যা আলোর মুখ দেখে না। এ ধরনের লোক দেখানো তদন্ত কমিটি করে ঘটনাগুলোকে বারবার ধাপাচাপা দেওয়া হয়। প্রশাসনের প্রতি কোনো আস্থা না থাকার পাশাপাশি বৌদ্ধ সমাজ ও ভিক্ষুসংঘ উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত।
তিনি বলেন, এমন অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীন পরিবেশে পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধ সমাজ ও ভিক্ষু সংঘ আসন্ন পবিত্র কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যাপারে কোনো উৎসাহ বোধ করছে না। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ভিক্ষু সংঘের মধ্যে আলোচনাক্রমে চলতি বছরে কঠিন চীবর অনুষ্ঠান না করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বনভান্তে শিষ্য সংঘের সহসভাপতি সৌরজগৎ মহাথের, পার্বত্য ভিক্ষু পরিষদ বান্দরবানের সাধারণ সম্পাদক তেজপ্রিয় মহাথের, কাপ্তাই চিৎমরম রাজনিকায় মার্গের সহসভাপতি জ্ঞানবংশ মহাথের, ত্রিরত্ন ভিক্ষু অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আগ্গাশ্রী মহাথের, খাগড়াছড়ি শাসনা ভিক্ষু সংঘের সভাপতি সুমনা মহাথের, বৌদ্ধ শাসনা ভিক্ষু কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সুরিয়েন্টা মহাথের, খাগড়াছড়ি ভিক্ষু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আগাসার থেরসহ আর অনেকেই।
আরটিভি/এমকে/এএইচ
মন্তব্য করুন