দরজায় কড়া নাড়ছে দুর্গাপূজা
বছর ঘুরে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দরজায় এখন কড়া নাড়ছে দুর্গাপূজা। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর সেনবাগে পূজা মণ্ডপগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। দুর্গাপূজা ঘিরে চারপাশে এখন উৎসবের আমেজ, দেবী দুর্গাকে বরণে চলছে মণ্ডপে মণ্ডপে প্রস্তুতি। দিনরাত টানা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন প্রতিমার কারিগররা।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সরেজমিনে বিভিন্ন মণ্ডপে গিয়ে দেখা যায়, কাদা মাটির প্রলেপের কাজ শেষ কারিগরদের। এখন রং তুলিতে সাজসজ্জার কাজ শেষে চলছে নানা অলংকার দিয়ে সাজানোর কাজ। শিল্পীর নরম হাতের তুলিতে ফুটে ওঠছে দেবী দুর্গা সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী। এবার দেবী আসবে পালকিতে চড়ে আর কৈইলাসে ফিরে যাবে।
এবার উপজেলায় ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় এবার ১২টি মন্দিরে দুর্গাপূজা ও ৫টি ঘটপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শারদীয় দুর্গাপূজাকে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ এবং মন্দির কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছেন আনসার ও পুলিশ সদস্যরা। এবার বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী আলাদা আলাদ ভাবে পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে।
আগামী ৮ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ১২ অক্টোবর বিজয়ী দশমীতে বিসর্জন ও শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।
এ দিকে বছর ঘুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ এই উৎসবকে ঘিরে মণ্ডপে মণ্ডপে বেড়েছে প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততা। অপরদিকে পূজামণ্ডপ ঘিরে সকল ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
কয়েকজন প্রতিমা শিল্পীর সঙ্গে বললে তারা জানান, সেনবাগসহ বিভিন্ন এলাকার দুর্গা মন্দিরের প্রতিমাগুলো নতুন করে রং ও তুলির আঁচড় দিয়ে সাজিয়ে তুলছেন তারা। আগে প্রতিমা তৈরি করা থেকে সাজানো পর্যন্ত খরচ হতো কম। এখন মালামালের দাম বৃদ্ধি, শিল্পীদের পারিশ্রমিক বাড়ার কারণে খরচ প্রায় দিগুণ। তবুও এ কাজ তাদের করতেই হবে কারণ এটা আমাদের ধর্মীয় রীতিনীতি। শেষ মুহূর্তে দেবীকে পড়ানো হবে পোশাক-পরিচ্ছেদসহ অন্যান্য আল্পনা।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দিলীপ কুমার দাস বলেন, আমাদের উপজেলায় দুর্গাপূজায় অতীতেও কোন ঘটনা ঘটেনি এবারও কোন কিছু হবে না বলে আমরা আশা রাখি। প্রশাসনিকভাবে আমাদের সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিকভাবেও আমাদের সহযোগিতা দেওয়া হবে, বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ থেকে এমনটিই আমাদের জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে এ উপজেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে।
আরটিভি/এমকে
মন্তব্য করুন