• ঢাকা শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১
logo

১০ বছর পর খালাস পেলেন বিএনপি নেতা

আরটিভি নিউজ

  ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৪৮

‘‌‌স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে ২০১৪ সালে মিথ্যা মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছিল। দীর্ঘ ১০ বছর মামলা টেনেছি। জেলে গিয়েছি। বাড়িঘরে থাকতে পারি নাই। আজ সেই মিথ্যা মামলা থেকে খালাস পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ।’

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালীর জজকোর্টে খালাস পেয়ে সাংবাদিকদের কাছে এভাবেই অনুভূতি জানান নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন। নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. নোমান মঈন উদ্দিন খালাসের রায় দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম ও অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান।

আজিম সুমন বলেন, শেখ হাসিনার বক্তব্যে ভিন্ন মতের মানুষের দমন করার নির্দেশ দিয়েছিল। তারপরই স্কুল শিক্ষিকা হত্যা মামলায় আমিসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০০০/২৫০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় আমরা ৫০ জনই আজ খালাস পেলাম। এটা আমাদের স্বাধীনতার প্রতিফলন। যিনি আমাদের পালিয়ে থাকতে বাধ্য করেছিলেন। তিনিই আজ পালিয়ে দেশ ছেড়ে গেছেন।

জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ২০ দলের ডাকা দেশব্যাপী হরতাল চলাকালে সকাল ১০টার দিকে হরতাল সমর্থনকারী পিকেটারের ইটের আঘাতে শামসুন্নাহার ঝর্ণা (৩৫) নামে এক স্কুল শিক্ষিকা নিহত হন। শিক্ষিকা নিহতের মামলায় মঞ্জুরুল আজিম সুমনসহ ৫০ জনকে আসামি করা হয়।

তৎকালীন নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ গণমাধ্যমকে জানান, পিকেটারদের ইটের আঘাতে মাথা থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শামসুন্নাহারের মৃত্যু হয়। শামসুন্নাহার রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ের তাওহিদ ল্যাবরেটরি স্কুলের সহকারী শিক্ষকা ছিলেন। তার বাড়ি ছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার পোড়াগাছা এলাকায়।

নোয়াখালী জেলা কোর্ট ইন্সপেক্টর শাহ আলম গণমাধ্যমকে জানান , ২০১৪ সালের শিক্ষিকা শামসুন্নাহার হত্যা মামলায় ৫০ জন আসামি এজাহারভুক্ত ছিলেন। মহামান্য আদালত ৫০ জনকেই খালাস দিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাসা-বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে যা জানালেন জ্বালানি উপদেষ্টা
বিএনপি নেতা রবিকে শোকজ
থানা থেকে লুট হওয়া রাইফেল মিলল ঝোপে
মিরসরাইয়ে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা