জুনায়েদ হত্যার বিচার দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ
নরসিংদীর মরজালে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীদের ছুরিকাঘাতে আহত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য জুনায়েদ আল হাবিব (২২) মারা গেছেন। ছুরিকাঘাতের ৯ দিন পর সোমবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর রায়পুরা মরজাল বাসস্ট্যান্ডে রাস্তায় টায়ারে আগুন ধরিয়ে অবরোধ করে ছাত্র-জনতা। দেড় ঘণ্টা এ অবরোধ চলে। এতে দু’পাশে প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তা তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ ও যাত্রীরা। দেড় ঘণ্টা পর পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলে আবারও যান চলাচল স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে। এর আগে জুনায়েদ হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তারা।
জুনায়েদ নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের বটিয়ারা এলাকার মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে ও স্থানীয় একটি কলেজের শিক্ষার্থী।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর উপজেলার বটিয়ারা মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য জুনায়েদকে ছুরিকাঘাত করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা স্বাধীন ও পিয়ালের নেতৃত্বে কয়েকজন। পরে আহত জুনায়েদকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। টানা ৯ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার দুপুরে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় আইসিইউতে ভর্তির পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে আইসিইউ খালি না থাকায় তাকে রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তির প্রস্তুতিকালে সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ৩০ সেপ্টেম্বর জুনায়েদের চাচা মো. শফিক বাদী হয়ে স্বাধীন ও পিয়ালসহ ১৪ জনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জব্বার জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে প্রতিপক্ষরা জুনায়েদ আল হাবিবকে ছুরিকাঘাত করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরটিভি/এএএ-টি
মন্তব্য করুন