কক্সবাজারে আ.লীগের ৪০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সহিংসতার অভিযোগে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৪০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার সদর থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) থানা সূত্রে জানা গেছে, শাহেদ বাবু নামে রামু উপজেলার মিঠাছড়ি এলাকার এক যুবক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। তিনি ছাত্রদের পক্ষ হয়ে এ মামলা করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জাতীয় সংসদের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক হুইপ ও কক্সবাজার সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদ্য অপসারিত চেয়ারম্যান শাহীনুল হক মার্শাল, কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন, কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেটের সৈয়দ রেজাউর রহমান রেজা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয়, শহর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুনাফ সিকদারসহ ৭৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
যদিও কক্সবাজার সদর থানার ওসি ফয়জুল আজিম নোমান মামলা রেকর্ড হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেননি। তবে থানার একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে মামলাটি বৃহস্পতিবার রাতেই রেকর্ড করা হয়েছে। কক্সবাজার থানার যার মামলা নম্বর ৩০/২০২৪, জি আর নম্বর ৬৬৫।
এ দিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন হয়েছে শেখ হাসিনার সরকারের। তার দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখনও রয়েছেন আত্মগোপনে। সরকার পতনের দুই মাস অতিবাহিত হলেও এখনও হামলা আর গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছেন তারা। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার পর দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে যান। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় অনেকেই দেশ ছাড়েন। এখনও অনেকেই চেষ্টায় আছেন দেশ ছাড়ার।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্কের পাশাপাশি হতাশা বাড়ছে। দুই মাস ধরে আত্মগোপনে থাকার পর আরও কতদিন এভাবে থাকতে হবে তা নিয়েও তাদের ভাবতে হচ্ছে। তাছাড়া বেশি দিন লুকিয়ে থাকাও অনেকের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর গ্রেপ্তার অভিযানও জোরদার রয়েছে।
আরটিভি/এমকে/এআর
মন্তব্য করুন