সুনামগঞ্জে ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরিকাঘাতে দিলোয়ার হোসেন (৩৮) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে সদরপুর গ্রামের মৃত আয়ফর মেম্বারের ছেলে মোস্তাক আলী ওরফে মোস্তাই মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দিলোয়ার উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের কামরূপদলং-এর কান্দিগাঁও গ্রামের লিম্বর আলীর ছেলে। তিনি তিন ছেলে-মেয়ে ও বৃদ্ধ মাকে নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করতেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৬ বছর আগে তিন সন্তানকে রেখে প্রেমের টানে জাহাঙ্গীর আলমের হাত ধরে ঘর ছাড়েন দিলোয়ারের স্ত্রী তেরা বানু। পরে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে সংসার শুরু করেন তিনি। এর কিছুদিন পর প্রবাসে চলে যান তেরা বানু। প্রবাস থেকে ফেরার পর সন্তানদের টানে ৬ বছর পর আবারও প্রথম স্বামী দিলোয়ার হোসেনের কাছে ফেরার আগ্রহ দেখান। বিষয়টি মীমাংসা ও পুনরায় বিয়ে করিয়ে দেওয়ার জন্য সদরপুর ও কামরুপদলং-এর মুরব্বিদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। রোববার তাদের দ্বিতীয় বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই কে বা কারা ঘুমন্ত অবস্থায় দিলোয়ার হোসেনের মাথায় এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। সপ্তাহ খানেক আগে জাহাঙ্গীর আলমের সংসার ছেড়ে আবারও প্রথম স্বামী দিলোয়ারের সংসারে আসার জন্য সদরপুর গ্রামে অবস্থান করছিলেন তেরা বানু।
মুরুব্বিরা বলেছিলেন রোববার জাহাঙ্গীরের সঙ্গে ডিভোর্স ও দিলোয়ারের সঙ্গে আবারও বিয়ে দেওয়া হবে। তাই সন্তানদের নিয়ে তেরা বানু আলাদা একটি ঘরে বসত করছিলেন এই ক’দিন। শনিবার সকালে স্বামীকে পান্তাভাত খাওয়াতে এসে দরজা খোলা এবং দিলোয়ারের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে সবাইকে চিৎকার করে ডাকেন তিনি।
জাহাঙ্গীর একই উপজেলা শিমুলবাঁক ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের বাসিন্দা, মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব আলীর ছেলে।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান। মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে থানা পুলিশ।
ওসি বলেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। কে বা কারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলছি। খুব দ্রুত ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আরটিভি/এএএ
মন্তব্য করুন