পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশায় শরতেই শীতের আগমনী বার্তা
এখন শরৎকাল। আশ্বিন প্রায় শেষ। এ সময় শেষ রাতে হিম হিম ভাব থাকলেও উত্তরবঙ্গের চিত্র একটু ভিন্ন।পঞ্চগড়ে রীতিমতো দুদিন থেকে কুয়াশার দেখা মিলছে।
প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত হাল্কা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলতে দেখা গেছে। তবে কুয়াশার স্থায়িত্ব বেশিক্ষণ ছিল না। সূর্য উঠলেই কুয়াশা কেটে যায়। কমতে শুরু করেছে জেলার তাপমাত্রা। পঞ্চগড়ের মানুষ শীত মোকাবিলায় অভ্যস্ত। তবে বর্তমানে প্রতিদিন সকালে এই উষ্ণ শীতল আবহাওয়া উপভোগও করছে পঞ্চগড়বাসী। তাপমাত্রা নেমে এসেছে ২৩ ডিগ্রির ঘরে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১ গড়ালেও সূর্যের দেখা মেলেনি। মেঘলা আকাশ। সকাল বেলা কুয়াশার মাঝে হাঁটতে বের হয়েছেন কেউ কেউ। মৃদু বেগে মাঝে মাঝে হিমেল হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ধান খেতে শিশির জমতে দেখা গেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে রোববার সকাল ৬টায় ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত কয়েক দিন থেকে তাপমাত্রা ২৩ থেকে ২৫ ডিগ্রিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। গেল ১০ অক্টোবর সর্বোচ্চ ৩২ দশমিক সর্বনিম্ন ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি, ১১ অক্টোবর সর্বোচ্চ ৩১ দশমিক ৮ সর্বনিম্ন ২৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি, গতকাল ১২ অক্টোবর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি বিরাজ করছিল পঞ্চগড় জেলায়। এ সময় সর্বোচ্চ ৩১ দশমিক ৮ ডিগ্রি।
পঞ্চগড় করতোয়া সেতুর সামনে তালমা এলাকার অটোচালক মইনউদ্দিন জানান, গত দুদিন থেকে সকাল বেলায় কুয়াশা পড়ছে। সকাল ৯টা বেজেছে, কিন্তু এখনও সূর্যের দেখা নেই। হাল্কা হাল্কা ঠান্ডা লাগছে। এ বছর মনে হয় আগাম শীত পড়বে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, আসলে গত কয়েক দিন থেকে তাপমাত্রা কমে গিয়ে কুয়াশার দেখা মেলায় শীতের আগমনী বার্তা দেখা দিয়েছে। আগামী দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে। বর্তমানে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে গেছে। আশ্বিন মাসজুড়ে আবারও তাপমাত্রা কমে যাবে। ধীরে ধীরে নামবে শীত। শরতেই কেন কুয়াশা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন এখন আর প্রকৃতিতে ষড়ঋতুর পরিক্রমা সঠিকভাবে বিদ্যমান হয়নি।
আরটিভি/এফআই
মন্তব্য করুন