দেশের মানুষ জামায়াতে ইসলামীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে: মতিউর রহমান আকন্দ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, সকল রাজনৈতিক দলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে দেশের মানুষ এখন জামায়াতে ইসলামীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আগামীর দেশ হবে জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ। দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নেই এমন কোনো দল নেই। বিগত সময়ে জামায়াতের নেতারা যেসব মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন তাদের দুর্নীতি খুঁজে পায়নি। এ কারণে বাংলাদেশের মানুষ জামায়াতের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) নগরীর তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ময়মনসিংহ জেলা শাখার রুকন সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ময়মনসিংহ অঞ্চল পরিচালক ড. সামিউল হক ফারুকী, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও ময়মনসিংহ অঞ্চল টিমের সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
জেলা জামায়াতের আমির মো. আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা মোজাম্মেল হক আকন্দের সঞ্চালনায় রুকন সম্মেলনে অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ইসলাম নিয়ে কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি করা যাবে না। পৃথিবীতে কোনো কট্টর মতবাদ যদি থাকে তাহলে সেটি হলো সেকুলারিজম। ইসলামে এমন দৃষ্টান্ত নেই। আমাদের ইসলামকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। পরাজিত দল আওয়ামী লীগের নেত্রীসহ নেতারা পালিয়েছেন। তাদের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের বিচার করা হবে। আমাদের নিজেদের হাতে আইন তুলে নেওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগের আমলের প্রশাসন সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে না, তা বর্তমান সময়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রতীয়মান হয়েছে। তাদের বিষয়েও বর্তমান অন্তবর্তীকলীন সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে জামায়াতে ইসলামীর একটা ভালো ইমেজ তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় অফিসে বিভিন্ন দেশের অ্যাম্বাসেডর এসে যোগাযোগ করছেন। সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে।
রুকনদের প্রতি গণজাগরণ তৈরির আহ্বান জানিয়ে এই জামায়াত নেতা বলেন, ভারতের সকল ষড়যন্ত্র রুখতে হবে। জামায়াতে ব্যাপক হারে জনশক্তি বৃদ্ধি করতে হবে। কমপক্ষে দশ কোটি জনশক্তি তৈরি করতে হবে। দশ কোটি জনশক্তি তৈরি করতে পারলে আগামী দিনের নির্বাচন হবে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন। নারীদের সাংগঠনিক কাজে সুসংগঠিত করতে হবে। নারীরা ময়মনসিংহের মাটিতে দাওয়াতি কাজে যে দৃষ্টান্ত রেখেছেন তা প্রশংসনীয়। সকলকে বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ করতে হবে। প্রত্যেকটি এলাকায় সামাজিক কাজ করতে হবে। এসব কাজের মাধ্যমে গণবিপ্লব তৈরি করতে হবে।
রুকন সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কামরুল হাসান মিলন, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক জসিম উদ্দিন, মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির আসাদুজ্জামান সোহেল, সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ কায়সার, মহানগর জামায়াতের আমির মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সভাপতি ডা. শাহাব উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য, থানা শাখার আমিরসহ প্রমুখ।
আরটিভি/এমকে/এআর
মন্তব্য করুন