রানী চানাচুর কোম্পানির কর্মচারীকে গলাকেটে হত্যা
যশোরের বকচর এলাকায় রানী চানাচুর কোম্পানির ভেতরে মিলন নামে এক কর্মচারীকে গলাকেটে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। নিহত মিলন মণিরামপুর উপজেলার ঝালঝাড়া খালকান্দা গ্রামের আসমত আলীর ছেলে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) ফাক্টারির অন্যান্য কর্মচারীরা মিলনের সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের ভেতরে গিয়ে তার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান।
নিহত মিলন রানী কোম্পানির মধ্যে গরুর খামারে চাকরি করতেন।
জানা যায়, মরদেহ দেখতে পেয়ে কর্মচারীরা পুলিশকে খবর দিলে দুপুর সাড়ে ১২টায় মরদেহ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে কোন তথ্য পায়নি পুলিশ।
মিলনের সহকর্মী তরিকুল ইসলাম জানান, রাত ১১টা পর্যন্ত তিনি এক নাইট গার্ডের সঙ্গে ওয়াজ মাহফিলে যান। পরে তিনি কোম্পানিতে এসে ঘুমাতে যান। সকালে এসে তিনি ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় মিলনকে দেখতে পান।
নিহতের বাবা আসমত জানান, মিলন সেখানে একাই থাকতেন। মিলনের স্ত্রী ও দুই ছেলে মণিরামপুরের বাড়িতে থাকতেন। খবর শুনে তারা এসেছেন। তার ছেলেকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা জানান, মিলন গত তিন বছর তাদের গরুর খামার দেখাশুনা করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। মিলন নিরীহ প্রকৃতির ছেলে বলে তিনি দাবি করেন।
এ দিকে হত্যাকাণ্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থলে যান যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান, ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ওসি শহিদুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বাবুল আক্তার, পিবিআই কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। পুলিশ হত্যা রহস্য খুঁজতে কাজ শুরু করেছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুযেল ইমরান বলেন, ‘মিলন হত্যার বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছেনা। তবে রহস্য উদঘাটনে পুলিশ শুরু কাজ করেছে।’
আরটিভি/এমকে
মন্তব্য করুন