দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে ছাত্রদল কর্মী হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে ছাত্রদল কর্মী ফারুক সরদারকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহার নামীয় দুজনকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর ও দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মামলার এজাহারনামীয় ৪ নম্বর আসামি গোয়ালন্দ উপজেলার উত্তর দৌলতদিয়া গ্রামের সোনাউল্লাহ শেখের ছেলে ফজল শেখ (৪০) ও তদন্তে প্রাপ্ত আসামি একই গ্রামের মোহন মন্ডলের ছেলে ইউসুফ মণ্ডল (৩০)।
নিহত ফারুক সরদার উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সোহরাব মণ্ডলপাড়ার পল্লী চিকিৎসক শহিদ সরদারের ছেলে। তিনি দৌলতদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শরীফ আল রাজীব এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রাজবাড়ী জেলা ডিবির একটি চৌকস দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার বাংলাবাজার এলাকা থেকে মামলার এজাহারনামীয় ৪ নম্বর আসামি ফজল শেখ ও একই দিন বিকালে তদন্তে প্রাপ্ত আসামি ইউসুফকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। মামলার অপর আসামি ও হত্যাকাণ্ডে সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
নিহত ফারুক সরদার উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সোহরাব মণ্ডলপাড়ার পল্লী চিকিৎসক শহিদ সরদারের ছেলে। তিনি দৌলতদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন।
এর আগে, গত ১২ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর সামনে ছাত্রদল কর্মী ফারুক সরদারকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসাপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারুককে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত ফারুকের স্ত্রী সুমি আক্তার বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরটিভি/এফআই-টি
মন্তব্য করুন