• ঢাকা শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১
logo

হত্যার ১১ বছর পর শেখ হাসিনাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:৩৬
ছবি: আরটিভি

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে গুলি ও তিনজনকে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার প্রায় ১১ বছর পর মামলাটি করা হলো।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু বাদী হয়ে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

বাদীর আইনজীবী আহমেদ ফেরদৌস মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতের বিচারক আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান মামলাটি আমলে নিয়েছেন। তিনি মামলাটি এফআইআর নেওয়ার জন্য সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।

অন্য আসামিরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক ছিদ্দিকি, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহিদুল হক, র‍্যাবের সাবেক এডিজি মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, তৎকালীন এআইজি মাহফুজুর রহমান, সাবেক লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, র‍্যাব-১১-এর ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল তারেক সাঈদ, মেজর মোহাম্মদ আরিফ, ল্যাফটেন্যান্ট কমান্ডার রানা, ডিএডি জাহাঙ্গীর আলম, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি তাহেরপুত্র একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু, আনোয়ার সাদাত শিবলু, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক বায়েজীদ ভূঁইয়াসহ ৩৫ জন।

এজাহার সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুরে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু উত্তর তেমুহনীতে র‍্যাব হামলা চালায়। এ সময় তিনি বাসার পেছনের দরজা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বাহিরে অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকা তাহেরপুত্র টিপু, শিবলু ও যুবলীগ নেতা বায়েজীদের কারণে তিনি পালাতে পারেননি। পরে র‍্যাবের তারেক সাঈদ, আরিফ ও রানাসহ অভিযুক্তরা তাকে মারধরে করে। একপর্যায়ে তার ডান পায়ে উরুতে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। পরে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে তিনি প্রাণে রক্ষা পায়। একইদিন জেলা যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ জুয়েল, বিএনপি কর্মী মাহবুব ও শিহাবকে গুলি করে হত্যা করে। শেখ হাসিনার নির্দেশে সেইদিন হামলা চালিয়ে বাদীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত সকলেই জড়িত রয়েছে।

বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিন সাবু বলেন, হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গিয়ে আমি প্রাণে রক্ষা পেয়েছি। প্রাণ রক্ষা দেশ বিদেশে পালিয়েছিলাম। তখন মামলা করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু মামলা করতে পারেনি। দীর্ঘ ১০ বছর ১০ মাস পর অবশেষে আমি মামলা করতে সক্ষম হয়েছি।

লক্ষ্মীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মুন্নাফ জানান, মামলার বিষয়টি এখনো জানা নেই। আদালতের নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরটিভি/এসএপি-টি

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আমি পালাইনি, ভয়ও পাইনি: টুকু
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে যেসব যুক্তি দেখাল বিএনপি
অন্তর্বর্তী সরকার শহীদদের খুনের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: রিজভী
৪৩তম বিসিএস ও ৮০৩ এসআই নিয়োগ বাতিল দাবি বিএনপির