সীমান্তের ওপারে বোমা বিস্ফোরণ, টেকনাফে ঘরবাড়িতে ফাটল
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। তিন দিন ধরে মর্টার শেলের গোলাবর্ষণের পাশাপাশি যুদ্ধবিমান থেকেও বোমা ফেলা হচ্ছে। সীমান্তের ওপারে একটানা বিস্ফোরণে টেকনাফের বেশ কয়েকটি ঘরবাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার রাত থেকে ব্যাপকভাবে মর্টার শেলের বিস্ফোরণ শব্দ শুনেছেন। পাশাপাশি এ পারেও ব্যাপকভাবে কেঁপে উঠছে। এ ছাড়াও বুধবার সকালে সঙ্গে যুদ্ধবিমান ও আকাশ থেকে বোমা ফেলেছে বলেও খবর চাউর হয়। এমন বিকট শব্দে মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আছারবনিয়া গ্রামে বেশ কিছু কাঁচা ঘরের দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। যেকোনো সময় ঘরের দেয়ালধসে প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
তারা বলেন, প্রায় কয়েক মাস ধরে এখানকার বাসিন্দাদের চোখে ঘুম নেই। তারপর গতরাতে ভয়ংকর বোমার শব্দ এলাকার কতিপয় সেমিপাকা টিনশেড ও মাটির দেওয়ালের বড় বড় ফাটল ধরেছে। এখন এসব ঘরে বসবাস করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
সাবরাং ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ শরীফ বলেন, রাতে নির্ঘুম রাত পার করেছেন স্থানীয় লোকজন। মর্টার শেলের বিকট বিকট শব্দে আতঙ্কে থাকতে হয়। রাত হলে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বহুগুণ বেড়ে যায়।
ওপারের বিস্ফোরণে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নসহ কয়েকটি গ্রামে লোকজনের ঘরবাড়িতে ফাটল ধরছে জানিয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, আতঙ্কে সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষজন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। তাদের নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলা হচ্ছে। রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফনদী ও সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সতর্ক আছে।
ইউএনও বলেন, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্তের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরটিভি/এসএপি
মন্তব্য করুন