চাঁদপুরে দেড় লাখ কিশোরী পাবে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা
জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে চাঁদপুর জেলায় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নুর আলম দীন।
সিভিল সার্জন জানান, চাঁদপুর জেলায় ১লাখ ৫১ হাজার ৯৩৬ জন কিশোরীকে জরায়ুমুখ ক্যান্সার (এইচপিভি) প্রতিরোধক টিকা প্রদান করা হবে। সারাদেশের ন্যায় চলতি মাসের ২৪ অক্টোবর থেকে আগামী ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত (শুক্রবার এবং সরকারি ছুটির দিন বাদে মোট ১৮ কর্মদিবস) এইচপিভি টিকা প্রদান করা হবে। প্রথম ৮দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং এরপর ১০ দিন গ্রামাঞ্চলের টিকাকেন্দ্রে এইচপিভি টিকা প্রদান করা হবে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা ছাড়াও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকরা অংশগ্রহণ করে।
এইচপিভি টিকার বিভিন্ন দিক ও গুরুত্ব তুলে ধরে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের (এমওসিএস) ডা. মো. শাখাওয়াত হোসেন।
ডা. মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, চাঁদপুর জেলায় অদ্য পর্যন্ত ওয়েব সাইট এবং অ্যাপসের মাধ্যমে ৩৩ হাজার টিকা গ্রহণের নিবন্ধ সম্পন্ন হয়েছে। জেলায় এই টিকার উপযোগী সংখ্যা হচ্ছে ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৩৬ জন। এর মধ্যে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি সমমান কিশোরী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার ৪২জন। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৯৪ জন।
জেলায় টিকা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানরে হচ্ছে ২ হাজার ৫১৯টি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাহিরে কমিউনিটি টিকা কেন্দ্রে ২ হাজার ৪২৪টি। এসব টিকা কেন্দ্রে ৬০৬ জন দক্ষ টিকা প্রদানকারী টিকা প্রদান করবেন। এসব কাজে ২ হাজার ৪১৮ জন স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিবেন এবং তাদেরকে সরাসরি তদারকি করবেন ৩০৩ জন কর্মকর্তা।
সভায় চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমনসহ প্রায় ৩০ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
আরটিভি/এএএ
মন্তব্য করুন