ছেলের চুরির অপরাধে মাকে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ছেলের বিরুদ্ধে মুঠোফোন চুরির অভিযোগ তুলে মাকে লাঠি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যের বিরুদ্ধে।
পাঁচ থেকে ছয় মাস আগে এক সালিশ বৈঠকে এ ঘটনা ঘটলেও শনিবার (২৬ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওই নারীকে পেটানোর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম আইয়ুব আলী। তিনি উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। লাঠিপেটা করা আইয়ুব আলী সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য ও একই ওয়ার্ডের শামসুল হকের ছেলে।
ভুক্তভোগী বিবি কুলসুম (৪০) সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের চরপানা উল্যা গ্রামের মো. মোহতাসিমের স্ত্রী।
১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, আশপাশে অনেক মানুষ জড়ো হয়ে আছেন। মাঝখানে বিবি কুলসুমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ছেলের অপরাধে মায়ের সম্পৃক্ততার কথা বলা হয়। বিবি কুলসুম অস্বীকার করলে একপর্যায়ে উপর্যুপরি লাঠিপেটা করতে থাকেন ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী। এ সময় পাশের কেউ কেউ ছেলের অপরাধের জন্য মা বিবি কুলসুমকে না মারার অনুরোধ করলেও কথা শুনেননি ইউপি সদস্য। আবার অনেকেই বিবি কুলসুমকেই দায়ী করেন।
জানা যায়, প্রায় ১০ মাস আগে এ সালিশের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় কয়েকটি বাড়িতে ছেলে সাকিবের চুরির জন্য বিবি কুলসুমকে দায়ী করা হয়। তারপর সবার সামনে বিবি কুলসুমকে লাঠিপেটা করেন ইউপি সদস্য।
ভুক্তভোগী বিবি কুলসুম বলেন, ‘আমার ছেলের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করা হয়। তারপর আমাকে দোষী করা হয়। মেম্বার আইয়ুব আলী সবার সামনে আমাকে লাঠিপেটা করেন। আমি তখন অপরাধীর মা তাই কারো কাছে ন্যায়বিচার পাইনি।’
এ দিকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও ভিডিওটি পুরনো দাবি করে ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী বলেন, ‘চুরির অপবাদ ছিল সত্য তবে আমি তাদের আত্মীয় হই। সেজন্য শাসন করেছিলাম। আর ভিডিওটি এক বছর আগের। আমি দুবারের ইউপি সদস্য। আওয়ামী লীগের সমর্থক। পুরাতন ভিডিও দিয়ে বর্তমান সময়ে বিএনপির লোকেরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’
এ বিষয়ে চরজব্বর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, ‘ভিডিওটির ওই ঘটনা নিয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। যদি অভিযোগ করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরটিভি/এমকে
মন্তব্য করুন