নোয়াখালীতে ছাত্রদল নেতার হাঁটুতে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক ছাত্রদল নেতার হাঁটুতে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচিহাটা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবদুল্লাহ আল ফারুক।
গুলিবিদ্ধ ইব্রাহিম মাসুম (২৭) আমান উল্যাহপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খোরশেদ আলম বলেন বুধবার সকালে স্থানীয় কাঁচিহাটা বাজারের পাশে একটি ঘরে স্থানীয় এক যুবক ইয়াবা সেবন করছিল। ওই সময় কিছু যুবক তাকে আটক করে। তখন পাশেই ছিল ছাত্রদল নেতা মাসুম। তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে মাদকসেবীকে মারধর করতে উদ্যত হয়। তখন একই এলাকার শিবিরের কয়েকজন লোক মুঠোফোনে কল দিয়ে মাসুমকে জানায় বিষয়টি বিকেলে তারাসহ বসে সমাধান করে দেবে। তারা যেন আটক ছেলেটিকে ছেড়ে দেয়। তাৎক্ষণিক ছাত্রদলের নেতারা আটক ছেলেটিকে ছেড়ে দেয়।
খোরশেদ আলম অভিযোগ করে আরও বলেন, সন্ধ্যার দিকে মাসুম কাঁচিহাটা বাজারের একটি দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলো। সেখানে কয়েকজন ছেলে এসে তাকে মারধর করে। এরপর সে একটি ফার্মেসি দোকানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে যায়। পরে ওই দোকান কয়েকজন ছেলে মোটরসাইকেল নিয়ে এসে পুনরায় মাসুমের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা ওপরে একটি ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। পরবর্তীতে মাসুমের বাম পেয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়।
যোগাযোগ করা হলে জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন বলেন, বিষয়টি আমি শোনার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলমকে পাঠিয়েছি। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
যদিও জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, যে ছেলেটাকে সকালে মারধর করা হয়েছে তিনি সম্প্রতি জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন। অনেক আগে তিনি ছাত্রদল করতেন। গত ৬ মাস আগে তিনি জামায়াতে যোগদান করেন। এজন্যই সকালে তাকে মারধর করা হয়। তবে কে বা কারা ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা করছে বিষয়টি আমাদের জানা নেই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, ইয়াবারতো প্রশ্নই আসেনা। পরিকল্পিতভাবে মামলা সাজানোর জন্য ইয়াবার কথা বলা হচ্ছে।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। গুলিবিদ্ধ যুবক ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে এ বিষয়ে এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি।
আরটিভি/এমকে
মন্তব্য করুন