চাঁদপুরের মেঘনায় ইলিশ শিকারের দায়ে ১০ জেলে গ্রেপ্তার
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিরাপদ প্রজনন রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের দায়ে ১০ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স। এর মধ্যে ৬ জেলেকে ৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৪ জেলের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, বুধবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এই সময় আটক ৬ জেলেকে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ আর এম জাহিদা হাসান।
তিনি আরও বলেন, অভিযানের সময় জেলেদের হেফাজতে থাকা ২২ হাজার মিটার কারেন্টজাল ও ৪০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং ইলিশ মাছ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন- মো. নাছির (৩৫), সাইফুল ইসলাম (২৩), সিহাব (২০), কবির হোসেন (৩৮), সাইফুল (২৮) ও রাসেল বেপারী (১৯)। নিয়মিত মামলার আসামীরা হলেন-মো. লিটন (৩০), মনির হোসেন (২৩), মানিক (২৮) ও মো. জামাল (৪০)। এসব জেলেদের বড়ি চাঁদপুর সদর ও মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম ইকবাল বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত চাঁদপুর মেঘনা মোহনা থেকে মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৪ জেলেকে ইলিশ শিকারের সময় হাতে নাতে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, অভিযানের শুরু থেকে আমরা জেলেদের ইলিশ শিকার থেকে বিরত থাকার জন্য তাদের খুব কাছে গিয়ে বুঝিয়েছি। এরপরেও আইন অমান্য করে যেসব জেলে নদীতে নেমেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় আমরা কাউকে বিন্দু মাত্র ছাড় দেইনি। পদ্মা-মেঘনায় ইলিশের নিরাপদ প্রজননকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।
আরটিভি/এএএ
মন্তব্য করুন